পাকিস্তানের করাচিতে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ভয়াবহ হামলায় নিহত ২ চীনা নাগরিক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৫ মাস আগে

পাকিস্তানের করাচিতে জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বেলুচিস্তানের একটি ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠী। এতে দুই চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ১০ ব্যক্তি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছেন অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, পাকিস্তানের চীনা দূতাবাস বলেছে যে, এটি একটি ‘সন্ত্রাসী’ হামলা। চীনা নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েক জন স্থানীয় মানুষও হতাহত হয়েছেন। তবে সামগ্রিকভাবে মৃতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চীনা দূতাবাস আরও জানিয়েছে, দেশটির সিন্ধু প্রদেশে বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের একটি কাফেলাকে লক্ষ্য করে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিচ্ছন্নতাবাদী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে কিছু প্রকল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসী সংগঠনটি বলেছে, তারা চীনের উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলী এবং বিনিয়োগকারীদের একটি কাফেলাকে টার্গেট করে এই হামলা চালিয়েছে। কাফেলাটি করাচি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই এ হামলা চালিয়েছে তারা।

সংগঠনটির দ্বিতীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। হামলাকারীর নাম শাহ ফাহাদ। তিনি বিএলএ-এর মাজিদ ব্রিগেডের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন।

বিএলএ-এর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যানবাহিত ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

চীনা দূতাবাস জানিয়েছে যে, প্রকৌশলীরা চীনা-অর্থায়নকৃত এন্টারপ্রাইজ পোর্ট কাসিম পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। করাচির কাছে পোর্ট কাসিমে নামে দুটি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তারা।

প্রকল্পটি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ, যা পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বেশ কয়েকটি অবকাঠামো এবং শক্তি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে, যেখানে গ্যাস এবং খনিজ সহ প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ সরবরাহ রয়েছে।