কুবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ক্লাস ও শিক্ষার্থীদের লাঞ্চনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

স্টাফ রিপোর্টার ।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকীতে ক্লাস নেওয়া ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের লাঞ্চনা করার অভিযোগে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরসূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকীতে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ক্লাস নিয়েছেন মর্মে সংবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিনকে আহবায়ক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাসকে সদস্য ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয় ।

গেল মাসের ১৭ তারিখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় গৃহীত কর্মসূচি পালনের সময় সে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছিলেন ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। সেসময় সকাল ১১ টায় অনলাইন ক্লাস শুরু হয়ে প্রায় বেলা ১২ টা পর্যন্ত ক্লাস নিয়েছিলেন তিনি। যদিও একই সময়ে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

তদন্তের বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ. কে. এম. রায়হান উদ্দিন বলেন, আমারা যত তাড়াতাড়ি পারি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।

মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক আরেকটি অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট পরিচালনায় শারিরীক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহবায়ক, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বর্ণা মজুমদারকে সদস্য ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে এক কমিটি গঠন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ১৪ মার্চ বিকাল ৫টায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাথে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ব্যাডমিন্টন খেলা হওয়ার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ৭টায় খেলা হবে এমন আশ্বাসে মাঠ ছাড়ে। পরে ৭ টায় মাঠে নামলে প্রতিপক্ষ দল অনুপস্থিত ছিল। এতে টুর্নামেন্ট পরিচালককে বললে শিক্ষার্থীদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। এসময় তিনি নিজের ইচ্ছেমতো খেলা পরিচালনা করবে বলে চলে আসেন। পরে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ৪০ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত চিঠিতে এ অভিযোগ করেন।

এ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করবো ঈদের বন্ধের আগে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে।’