কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মায়ের সামনে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে ইমরান হোসেন (২১) নামে এক যুবককে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন মিয়াজী ছেলে এছাক মিয়াজী (৫০) ও মৃত হাফেজের ছেলে মোঃ রুবেল (২৫)। তথ্যটি রোববার সন্ধায় নিশ্চিত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
ওসি জানান, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইলেকট্রিক মেস্ত্রী ইমরান শুক্রবার রাতে স্থানীয় তারাশাইল বাজারের বিকাশ দোকান থেকে ইমরান ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় সন্ত্রাসী শহিদুর রেজা রতন মিয়াজী নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পথরোধ করে অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে মারধর শুরু করে।
এ সময়ে তার আত্নচিৎকারে তার মা আফরোজা বেগম এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পেলে। পরে ইমরানকে মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে মায়ের চোখের সামনে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতন শুরু করে। সন্ধা ৬টা থেকে প্রায় রাত ৯টা পর্যন্ত এই নির্যাতন চলতে থাকে। নির্যাতনের একপর্যায়ে ইমরান অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে তার আত্বীয়-স্বজন এগিয়ে এসে ইমরানকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মসজিদের পাশের বাড়ির একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ শনিবারে সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে একই গ্রামের শহিদুর রেজা রতন মিয়াজীকে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
ওসি আরো বলেন, রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের এএসপি নুসরাত তাবাসসুম নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী এছাক মিয়াজী (৫০) ও মোঃ রুবেল (২৫) কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।