কুমিল্লার লালমাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার বাক প্রতিবন্ধী তরুণী; আটক-১

গাজী মামুন, লালমাই।।
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

কুমিল্লার লালমাইয়ে লাভলী আক্তার (২১) নামে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালমাই থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা। মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. জাহাঙ্গীর কে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। মামলার দুই নম্বর আসামি একই এলাকার মৃত রজ্জব আলীর ছেলে বাহার মিয়া (৫৫) বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে দোকান থেকে চিপস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীকে পাশ্ববর্তী আবদুল বারিকের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের লেবার রুমে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে জাহাঙ্গীর ও বাহার।

বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী তরুণীর মা ও খালা ওই লেবার রুমে গিয়ে দেখে বাহার মিয়া প্রতিবন্ধীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছেন এবং মো. জাহাঙ্গীর প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ শেষে উলঙ্গ অবস্থায় তাদের পাশে বসে তরুণীর স্পর্শ কাতর স্থান ধরে বসে আছে। তখন প্রতিবন্ধীর মা ও খালাকে দেখে ধর্ষণকারীরা লুঙ্গি পড়ে ঘটনাস্থল হতে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধীর বাবা আলী আক্কাস বলেন, গত দুই বছর যাবৎ তারা আমার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ের উপর কু-নজর দিয়ে আসছে।

তারা আমার মেয়েকে নানা সময়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাইতো। এ বিষয়ে বাহার মিয়া কে একবার সতর্কও করেছিলাম। গতকাল সকালে আমরা ঘুমে থাকা অবস্থায় আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে বের হলে তারা চিপস কিনে দিয়ে আমার মেয়েকে পাশ্ববর্তী নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের লেবার রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।

আমি তাদের উপর্যুক্ত শাস্তি দাবি করছি এবং মামলার দ্বিতীয় আসামিকে দ্রুত আটক করতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি জাহাঙ্গীরকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার দুই নম্বর আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীকে মেডিকেল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।