রুবেল মজুমদার ।। কুমিল্লা নগরীর গোবিন্দপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার প্রকাশ্যে দিবালোকে অপহরণ হয় কিশোর আশিক(১৭)। অপহরণের তিনদিন পেরিয়ে গেল আশিকের সন্ধান দিতে পারিনি প্রশাসন।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে অপহরণের শিকার আশিকের মা ছেলে সন্ধান চেয়ে একই এলাকার মৃত জাহের মিয়া ছেলে মুসু সহ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানা একটি অভিযোগ করেন ।
পরিবার ও অভিযোগ সূত্র জানায় যায়,দীর্ঘ ধরে মাদক ব্যবসায়ী মুসি ওহ তার বাহিনী নগরীর গোবিন্দপুর এলাকার খান পুর্ব পাড়া মাদক ব্যবসায় শুরু করেন,এতে এলাকাবাসী সহ আশিক বাধা প্রদান করলে আশিকের সাথে মুসির বাহিনীর র্তকাতর্কির হয়,এর কিছিুদিন রবিবার (৩১ জুলাই) নগরীর গোবিন্দপুর এলাকা থেকে মুসির নেতৃত্বে তার বাহিনী প্রকাশ্যে দিবালোকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অপহরণ করেন আশিকে,অপহরণের প র বিভিন্ন মাধ্যমে মুসু তার লোকজন দিয়ে আকিশের পরিবারে কাছে চাঁদা দাবি করেন।
দিনমজুর আশিকের পিতা মো আলমগীর হোসেন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার হত্যা করবে বলে মুসি লোকজনের মাধ্যেমে জানান।এ ঘটনার পর থেকে মুসু ওহ তার বাহিনীকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
আশিকের মা আসলিমা বেগম বলেন,আমার ছেলে কি অন্যায় ছিল,মুসির আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় সবার সামনে,মাদক বাধা দেওয়ার কি আমার ছেলে অপরাধ,এলাকায় তার মদ বিক্রি করে অথচ তার বিচার কেউ করে না,আমার ছেলে বাধা দেওয়াই দোষ? মুসু ওহ তার ভাইয়ের পুলিশের হুমকি দেখায়,তারা নিজের পুলিশের র্সোস বলে আমাদের হুমকি -দমকি দিচ্ছে।
নগরীর এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রহমান বলেন,বিষয়টি আমার কাছে প্রথমে অভিযোগ আসলে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য আশিকের মা পরামর্শ দিয়।যেহেতু ঘটনা র্দীঘদিনের যাবত মাদক ব্যবসায় অধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘটিত এখানে প্রশাসনের উচিত বিষয়টি নজর দেওয়ার জন্য ।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানা ওসি সহিদুল রহমান বলেন,আজ (মঙ্গলবার )আমরা প্রধান অভিযুক্ত মুসুকে গোবিন্দপুর এলাকায় থেকে আটক করেছি ।আশিক অপহরণ পর থেকে আমাদের পুলিশ বিশেষ টিম তাকে উদ্ধারে চেষ্টা করছে।এছাড়া বাকী অভিযুক্তরা পুলিশের নজরদারি আছেন ।