কুমিল্লায় এমবিবিএস পরীক্ষা চলাকালীন রাস্তা বন্ধ

রোগী ও স্বজনদের দূর্ভোগ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

শুক্রবার কুমিল্লায় ২টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা।কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ডিগ্রি শাখার এই ভেন্যুতে এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন সাত হাজার শিক্ষার্থী। এই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কারণে ভ্যানু কেন্দ্রিক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এ সময় রোগী ও তার স্বজনদের র্দূভোগে পড়তে হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার এই পরীক্ষা শুরু হয়।পরীক্ষার্থীদের এই সময়ের মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে।

এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন।শিক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকরা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকায় মেডিকেল কলেজ রোডটি ব্লক হয়ে যায়।এতে প্রায় ২ ঘন্টাখানেক রোগীদের এম্বুলেন্স হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেনি।এতে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

ক্ষিপ্ত হয়ে বরুড়া উপজেলার ঝলম এলাকা থেকে আসা রোকসানা নামের এক রুগী বলেন,পরীক্ষা চলবে তার জন্য রাস্তা ব্লক করে রাখবে এটাতে হয়না।আমার শরীর খুবই খারাপ লাগছে।এতো দূর থেকে এসে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করেও যেতে পারিনি।তাই এখন কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি।

আরেক ইমারজেন্সি রুগী মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর থেকে আসা কাইয়ুম নামের রুগী বলেন,আমার পা ভেঙে গেছে।এখন হাসপাতালে যেতে পারছিনা।পুলিশ ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দিলে কিছুটা দূর যাওয়ার পর আর যাওয়া যাচ্ছেনা।নিরুপায় হয়ে এখন প্রাইভেট কোনো হাসপাতালে ভর্তি হতে যাচ্ছি।

২ ঘন্টা পর রাস্তার চলাচল স্বাভাবিক হলে রুগী ও পথচারীরা আসা যাওয়া শুরু করে।সৈয়দা আক্তার খাদিজা নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন,রাস্তায় প্রচুর ভীড় থাকার কারনে আমি পরীক্ষার হলে ঢুকতে ১০ মিনিট দেরী হয়েছে।এখন বের হওয়ার পর আমার মা কে খুজে পাচ্ছিনা।নাবিলা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন,এই ভীরের মাঝে গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় কোনো শৃঙ্খলা দেখতে পেলামনা।যে- যেভাবে আসছে আর ধাক্কা ধাক্কি দিয়ে যাচ্ছিলো।পরে আমার শরীরে কিছুটা ব্যাথা পাই।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন,ভীড়ের কারনে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সকল ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা ছিলো।তারা শৃঙ্খলার কাজ করেছে।ভীড়ের কারনে রুগীদের একটু কষ্ট করতে হয়েছে।পরীক্ষার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ বলেন,এতো হাজার হাজার শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে কুমিল্লা আসছে।আর সকল শিক্ষার্থীদের সাথে ছিলো সকলেরই অভিভাবক।তাই একটু যানজট হতেই পারে।তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনির যথেষ্ট সহযোগিতা ছিলো।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি। ফলে ভর্তির জন্য এবার প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৭৭২টি। সব মিলিয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য ১১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন। এ হিসাবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি আসনের জন্য গড়ে ১২ দশমিক ৫ জন ভর্তিচ্ছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।