কুমিল্লায় যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে নাটাব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে

মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময় সভায় টুটুল
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড.আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেছেন, নাটাব যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে কাজ করছে। আধুনিক উন্নত চিকিৎসার ফলে যক্ষ্মারোগ আজ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তবে নির্মূল হয়নি। এখনো আমাদের দেশে বছরে ৪০ হাজার লোক যক্ষ্মা রোগে মারা যায়। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।তিনি গতকাল রোববার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নাটাব কুমিল্লা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। আদর্শ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান টুটুল আরো বলেন, তামাক ব্যবহার বা ধূমপান যক্ষ্মার অন্যতম কারণ। বর্তমানে দেখবেন একজন ধূমপায়ী অন্য একজন ধূমপায়ীকে প্রকাশ্যে ধুমপান করতে নিষেধ করেন। এটা নাটাবের অবদান। ধূমপানে সচেতনতা তৈরি করেছে নাটাব।আমাদের কুমিল্লায় যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখছে নাটাব।

নাটাব কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা বক্ষ ব্যাধি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ডা, মিজানুর রহমান। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল, বীরমুক্তিযোদ্ধা গুণেন্দ্র কুমার রতন।
নাটাব কুমিল্লার পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আতোয়ার রহমান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নাটাব কুমিল্লার সদস্য সাংবাদিক ইয়াসমীন রিমা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন নাটাবের স্যোসাল মোবিলাইজার মাসুদ হাসান।
কুমিল্লা বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ডা. মিজানুর রহমান প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন,কুমিল্লায় যক্ষা রোগের চিকিৎসা করতে কোন টাকা পয়সা খরচ হয় ন্ া। সরকার এ রোগের সকল ব্যয় নির্বাহ করে। কুমিল্লায় জিনস্পার্ট মেশিন , এক্স-রে মেশিন , দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছে। যক্ষা¥া রোগিরা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ফ্রি সেবা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা যক্ষ্মা নিরোধের বিভিন্ন কৌশল ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করেন। যক্ষ্মা নিরোধে সুশীল সমাজ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।