কুমিল্লায় সম্মাননা পেয়ে খুশি মাঠ কর্মকর্তারা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বুড়িচংয়ে কৃষি উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘কৃষি উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বুড়িচং সম্মাননা’ ৬জন মাঠের কর্মকর্তাকে প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা কৃষি অফিসে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
চাকরি জীবনে অনেকে প্রথমবারের মতো সম্মাননা পেয়ে খুশি। তারা হলেন তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে প্রথম মনোহরপুর ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন, ২য় ভরাসার ব্লকের মো. ফখরুল ইসলাম ও ৩য় আবিদপুর ব্লকের মোহাম্মদ ওমর ফারুক। কৃষি সম্প্রসারণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথম রামপুর ব্লকের মোসা. সুলতানা ইয়াসমিন, পূর্ণমতি ব্লকের মোছা. বিলকিছ আক্তার ও ৩য় নিমসার ব্লকের মো. ফারুক আহাম্মদ ভূঞা।
এছাড়া বুড়িচং উপজেলার কৃষি উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার সিএসও ও প্রধান ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার এসএসও ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার এসএসও ড. মো. মামুনুর রশিদকে সম্মাননা দেয়া হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায়।
উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন বলেন, আমার ব্লকে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন কৃষকদের সহযোগিতায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছি। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় স্যার আমাকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়েছেন। আমার চাকরির শেষ দিকে আছি। এসময় এই পুরস্কার পেয়ে আমি আনন্দিত।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, মাঠের উপসহকারি কর্মকর্তারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করেন। তাদের অনেকের বসার কোন অফিস নেই। বুড়িচংয়ে মাঠ কর্মকর্তারা কৃষির উন্নয়নে যে কাজ করেছেন তা অনবদ্য। তাদের সম্মানিত করতে পেরে ভালো লাগছে।
ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার এসএসও ড. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, কাজের স্বীকৃতি মানুষকে আরো উদ্যোমী করে। বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিসের এই আয়োজন অনন্য। এতে কুমিল্লার কৃষি আরো এগিয়ে যাবে।
বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লার এসএসও ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন,আমরা উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি কৃষকের নিকট পৌঁছে দিয়েছি। এতে কৃষকের আয় বেড়েছে। সেনিরিখে আমাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে। সম্মাননা সব সময় কাজের গতি বাড়ায়। এছাড়া বুড়িচংয়ের মাঠ কর্মকর্তাদের সম্মাননা জানানো হয়েছে। কর্মপরিবেশ তৈরিতে এই উদ্যোগ অন্যদের জন্য রোল মডেল হতে পারে।