কুমিল্লা জেলা কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ইরফানুল হাসান সমিতি সম্পর্কে যা বললেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

কুমিল্লা জেলা কর আইনজীবী সমিতির নতুন আহ্বায়ক কমিটিকে আমি মো: ইরফানুল হাসান সাবেক সম্পাদক হিসেবে স্বাগত জানাই এবং আমি আশা করছি, নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলা কর আইনজীবী সমিতি উত্তরোত্তর উন্নয়ন সাধন করবে।
‘কুমিল্লা কর আইনজীবী সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন’শীর্ষক শিরোনামে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার দৈনিক রূপসী বাংলাসহ কয়েকটি পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বেশ কিছু স্থানে আমার বিষয়ে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ স্বরূপ আমি নিচে আমার বক্তব্য তুলে ধরছি।

দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা কর আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে আমি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত হইনি। চেষ্টা করেছি, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বারকে এগিয়ে নিতে। ভোটার তালিকায় কোন অনিয়ম করার সুযোগ আমার কাছে নেই। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈধ সদস্য তালিকা অনুমোদিত হয়েছে-তা থেকে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করে থাকেন-নির্বাচনের ব্যাপারে সার্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের-আমার ব্যাক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহনের কোন সুযোগ নেই। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘সম্পাদক’ নির্বাচন কমিশনের আহবায়ক থাকবেন-যা আমি প্রথমবার সম্পাদক হওয়ার অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত ও প্রচলিত।
কর আইনজীবী সমিতির কোন সদস্যের মৃত্যুতে দশ হাজার (১০,০০০/-) টাকা সম্মননা প্রদান করা হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে পঁচিশ হাজার (২৫,০০০/-) টাকায় উন্নীত করা হয়-এ পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন সদস্যের ভর্তি ফি (২৫,০০০/-) পঁচিশ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়। উক্ত টাকা জনতা ব্যাংক কান্দিরপাড় শাখায় সমিতির একাউন্টে জমা করা হয়েছে।
একজন সম্পাদক হিসেবে সমিতির প্রত্যেক সদস্য আমার কাছে সম্মানিত এবং সুখে দ:ুখে তাদের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। তারপরে ও যদি কোন সদস্য আমার আচরনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
আমি ব্যাক্তিগত, পারিবারিক ও পারিপাশির্^ক কারনে বিগত বিশ বছর যাবৎ রাজনীতির সাথে জড়িত নই। কোন রাজনৈতিক দলের কমিটিতে অদ্যাবধি আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই। আমি দায়িত্ব পালনকালে সকল রাজনৈতিক ও বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে একজন পেশাদার আয়কর আইনজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ছিলাম।
সমিতির কার্যক্রমে যে সামান্য আয় হয় তা থেকে দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম করার কোন ইচ্ছা আমার যেমন ছিল না, তেমনি কোন সুযোগও রাখিনি। সমিতির সকল হিসাব নিকাশ স্বচ্ছতার সাথে প্রতিবছর বার্ষিক সাধারন সভায় (অ.এ.গ) উপস্থাপন করা হয় এবং যা ইতিপূর্বে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
অতএব, আমি কুমিল্লা কর আইনজীবী সমিতির সম্মানিত সদস্যগণের সদয় বিবেচনার জন্য আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাখ্যা প্রদান করলাম এবং অনাকাঙ্খিত অভিযোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।