কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শৌচাগারে তালা !

সেবা গ্রহিতাদের ভোগান্তি চরমে
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়টি কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিস।এই অফিসে ২টি এডিম আদালত ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের গুরুত্বপূর্ণ আদালত রয়েছে।আদালত গুলোতে এবং জেলা প্রশাসক অফিসে প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছুটে আসে শত-শত মানুষ। কিন্তু এই কার্যালয়ের আশপাশের শৌচাগার গুলো প্রায় বছরখানেক ধরে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয় এই এখানে আসা জনগণের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচ তলায় অবস্থিত এডিএম আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাশের শৌচাগারের দরজায় সবসময় তালা ঝুলেনা থাকে । ডিসি অফিসে থাকা ট্রেজার পুলিশদের যখন প্রয়োজন হয় তারা তখন ব্যবহার করে।আবার ওখানের কর্মরত যারা আছেন তারাও ট্রেজার পুলিশ থেকে চাবি নিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করেন।আর এখানেযারা সেবা নিতে আসেন তাদের যদি প্রকৃতির ডাক আসে তখন তারা যদি গিয়ে চাবি চায় তখন তাদের বলা হয় এখানের শৌচাগারটি ট্রেজার পুলিশের শৌচাগার। চাবি দেওয়া হয় না। আরেকটি শৌচাগারেও তালা ঝুলতে দেখা যায়।যেটি ভোক্তা অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক আসাদুল ইসলাম সাহেবের রুমের পাশের শৌচাগারটি।এই শৌচাগারের তালা বদ্ধ রাখার কোনো কারন কেও বলতে পারছেনা। ফলে সেবা নিতে আসা শত শত মানুষকে বিশেষ করে নারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। কোন পাবলিক টয়লেট না থাকায় প্রকৃতির কাজটি সারারও কোন দ্বিতীয় উপায় থাকে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এডিএম আদালতে আসা এডভোকেট মাহবুব জানান,এডিএম আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খুবই গুরুত্বপূর্ণ আদালত।আমরা এখানে এসে আদালতের পাশের শৌচাগারটি ব্যবহার করতে পারিনা।এটা সবসময় তালা বন্ধ করে রাখা হয়।ডিসি মহোদয় যদি শৌচাগারটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়,তাহলে জনগণ উপকৃত হবে। অথবা ডিসি মহোদয়ের বার্যালয় সংলগ্ন কোথায়ও একটি পাবলিক টয়লেট করে দেখ। মানুষ টাকা দিয়ে তাদের প্রকৃতির কাজ সারবে।
নগরীর টমসমব্রীজ সংলগ্ন রামমালা এলাকার আনসার ব্যাটালিয়ান কার্যালয় থেকে আসা দেলোয়ার নামের এক কর্মকর্তা জানান,মাত্র দেখলাম ভিতরে মহিলা একজন ঢুকালো।এরপর আমিও ঢুকতে চাওয়ায় সে বললো এটি মহিলাদের শৌচাগার।তাই চলে আসলাম। অথচ দেখলাম অনেক মহিলাই পরে ঢুকতে চেয়েছে কিন্তু সুযোগ দেয়নি। তালা দিয়ে চলে গেছে।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসা সুইটি নামের এক নারী বলেন,একটি মামলার বিষয়ে এডিএম আদলতে এসেছি।সকাল থেকে বসে আছি এখনো ডাকেনি,আমি যখন শৌচাগারে যেতে চাইলাম,তখন দেখলাম শৌচাগারে তালা ঝুলছে।
আরো কয়েকজন নারী বলেন,ছেলেরা যত্রতত্র প্রাকৃতিক কাজ সেরে নিতে পারে।আমরা নারীরা কোথায় যাবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামিম আলম বলেন,কারো ব্যক্তিগত শৌচাগার আমাদের অফিসে নেই।আমার রুমের পাশেসহ আশপাশে অনেক শৌচাগার আছে।এডিএম আদালতের পাশেরটি কেনো বন্ধ রয়েছে তা দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করছি।