কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের আহবায়ক মো. মোস্তাক মিয়া বলেছেন, কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য অসামান্য অবদান রেখে গেছেন কিংবদন্তী নারী, একুশে পদক প্রাপ্ত ডা. যোবায়দা হান্নান। এবং তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ,সাবেক এমপি বেগম রাবেয়া চৌধুরী। গত ১৬ বছর স্বৈরাচারের দোসররা এই দুটি নাম কুমিল্লা কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতাল থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। গোটা হাসপাতালটিকেই দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। সেবার নামে এখানে লুটপাট করা হয়েছে। সদস্যদের চাপে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালকে দূর্নীতিমুক্ত করে জনবান্ধবে পরিনত করব। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ^ ডায়াবেটিকস দিবস উপলক্ষে র্যালী উত্তর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন,ডায়াবেটিস চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ করাই বাঞ্ছনীয়। ডায়াবেটিস হলে ভয় পাবার কিছুই নেই। এই রোগ নিয়ন্ত্রনে মানতে হবে শৃংখলা ও খাবারের নিয়ম। নিয়মিত শরীরকে সচল রাখতে হবে। হাঁটা উত্তম উদাহরণ হতে পারে।
একটানা অধিক সময় বসে কাজ করবেন না। কম্পিউটার ব্যবহার ও কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান। একটু পায়চারি করুন ও গেম খেলা কমিয়ে দিন। ধূমপান বর্জন করুন। রক্তের গ্লুকোজ, লিপিড, রক্তচাপ ও ওজন অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রায় রাখতে হবে। নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করুন
“সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ^ ডায়াবেটিকস দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালী উদ্বোধন করেন কুমিল্লা কুমিল্লা ডায়াবেটিক সমিতির আহবায়ক মো. মোস্তাক মিয়া। র্যালীটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডায়াবেটিক হাসপাতালে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালী শুরুর আগে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন , কুমিল্লা জেলা সমাজ সেবা উপ পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান খান, ডাঃ দিলরুবা আক্তার,ডাঃ অজিত কুমার পাল , বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নূরে আলম।
র্যালী ও আলোচনা সভার পর ডায়াবেটিকস হাসপাতাল প্রাঙ্গনে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়।