কুমিল্লা নগরীতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের এক এসআইয়ের ওপর সড়কের গর্তে জমে থাকা পানি ছিটকে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক ব্যবসায়ীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ কুমিল্লা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার (আরও-১) এসআই নিক্সন চৌধুরীসহ আরো কয়েকজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। আহত ওই ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ভূইয়া সৈকত (২৫)। তিনি পুরাতন চৌধুরীপাড়া হোমিও কলেজ সংলগ্ন মৃত জয়নাল আবেদীন ভূইয়ার ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা হয়ে নিজের গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ভূইয়া সৈকত। এসময় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এসআই নিক্সন চৌধুরীর গায়ে পানি ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সৈকতের গাড়ির পিছু নেন নিক্সন চৌধুরী। ফৌজদারী এলাকার একটি গ্যারেজের সামনে সৈকতের গাড়ির গতিরোধ করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন এসআই নিক্সন চৌধুরী। এসময় সৈকত তার সাথে খারাপ আচরণের কারণ জানতে চান। তখন দুজনের মধ্যেই বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে নিক্সন চৌধুরী গাড়ির ভেতর থেকে সৈকতকে টেনে বের করে আনেন। হাতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এসময় সৈকতের মাথা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে।
তাজ উদ্দিন ভূইয়া সৈকত জানান, ফৌজদারি এলাকায় আসার পর পেছন থেকে সাদা পোশাকে এসে আমাকে গালমন্দ করতে থাকেন। একবারও তিনি পুলিশের লোক পরিচয় দেননি। কোন কিছু বুঝার আগেই তিনি আমার শার্টের কলার চেপে ধরে মারতে থাকেন। আমার অপরাধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়ি চালিয়ে আসার পথে রাস্তার পানি ছিটকে তার প্যান্ট ভিজে যায়। তখন তার প্যান্ট শুকনো ছিল। এসময় আরো কয়েকজন কনস্টেবল এসে আমাকে পুলিশ লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেচড়া শুরু করে। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা সরে যায়। আমার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু আমলে নেয়া হয়নি। আমি এ ঘটনায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরও-১ এস.আই নিক্সন চৌধুরী বলেন, তেমন বড় কোন বিষয় হয়নি। আমাদের দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। পরে স্থানীয়রাসহ আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অফিসারকে ডেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।