কুমিল্লা বিবির বাজার স্থলবন্দরে আমদানি – রপ্তানি কমেছে

চোরাই পথে মাল আসায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দরে করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নেই বললেই চলে।বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়ায় অনেকটাই বন্ধ রয়েছে আমদানি।গুটি কয়েক পণ্য আমদানি হয় ভারত থেকে।

বিবির বাজারের এই স্থলবন্দরটি দেশের ১৩তম স্থলবন্দর।১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও কর্তৃপক্ষের সুনজরের অভাবে স্থল বন্দরটি গত ২৮ বছরেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।তারপরেও পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে করোনা মহামারীর পূর্বে যতটুকু গতি ছিল করোনার পরবর্তী বর্তমান সময়ে এসে সেই গতিটুকুও এখন আর নেই। নিভু নিভু হয়ে জ¦লছে দেশের ১৩তম এই স্থলবন্দরটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এই বন্দর দিয়ে সামান্য কিছু নির্মাণ সামগ্রী রপ্তানি করা হলেও আমদানি একেবারে নেই বললেই চলে।এই শীতের মৌসুমে মশলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে শুধু জিরা আমদানি হচ্ছে।যার রাজস্ব খুবই সামান্য। ফলে উন্নতমানের অনেক পণ্য চোরাই পথে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে আমদানি করছে বেশ কয়েকটি চক্র।
বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,গত জুলাই মাস থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৯ টাকা,আর রপ্তানি হয়েছে ৭লাখ ১৬ হাজার ৪৭৪ টাকা।বাংলাদেশ থেকে মোটামোটি অনেক পন্য রপ্তানি করা হলেও ভারত থেকে আমদানির ক্ষেত্রে মাত্র ২৪টি পণ্য আমদানির বিধান রয়েছে।আর সিমেন্ট, কয়লা, ঢেউটিন, সিমেন্ট শিট, গুঁড়া পাথর, পিভিসি কম্পাউন্ড, প্লাস্টিকের দরজা, ইট ভাঙার মেশিন, ধান মাড়াই কল ও কোমল পানীয়সহ কেবল ১৫-২০টি পণ্য আমদানী হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে।

এক্ষেত্রে ভারত সরকারের সহযোগিতাসহ ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বন্দরটির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
বিবির বাজারের স্থল বন্দরের বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগতলার শ্রীমন্তপুর।যা রপ্তানি ও আমদানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।এখান দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যসমূহের সঙ্গে আন্ত:দেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।অথচ এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের আমদানি খুবই কম। বিবির বাজার স্থলবন্দর সূত্র মতে, সিমেন্ট, কয়লা, ঢেউটিন, সিমেন্ট শিট, গুঁড়া পাথর, পিভিসি কম্পাউন্ড, প্লাস্টিকের দরজা, ইট ভাঙার মেশিন, ধান মাড়াই কল ও কোমল পানীয়সহ কেবল ১৫-২০টি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। দেশের বড় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এলে বন্দরটি চাঙা হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে ভারত সরকারেরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন,বন্দরটি সঠিকভাবে না পরিচালনার কারনে আজ এই দূরাবস্থা।এক সময় এই বন্দর দিয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৬-৮ হাজার টন পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি করা হতো।বিশেষ করে ইট যদি রপ্তানি করা যেতো তাহলে অনেকটাই সংকট কেটে যেতো।

বিবির বাজার স্থলবন্দর ইনচার্জ ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, করোনার সময় থেকে পূর্বের নেয় বাণিজ্যের হার তেমন বাড়েনি। আরো বড় ফেক্টর হয়ে দাড়িয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ।বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ফলে স্থলবন্দরেরও পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি অনেকটাই কমে গেছে।