গভীর রাতে প্রেমিকের ঘরে প্রবেশ দেখে ফেলায় মিনরা বেগমকে হত্যা করা হয়

# তিতাসে মিনরা হত্যা রহস্য উদঘাটন
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

তিতাসের বৃদ্ধা মিনরা বেগম (৭০) হত্যাকান্ডের মাত্র ৩৭ দিনের মাথায় হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ কুমিল্লা। একটি ক্লুলেস হত্যাকান্ড হিসেবে মামলাটি তদন্ত শুরু করেছিল জেলা গোয়েন্দা বিভাগ।
গভীর রাতে প্রেমিক অন্তর দাস প্রেমিকা সাইফার কাছে দেখা করার জন্য জানালা দিয়ে প্রবেশ করার মুহুর্তে দেখে ফেলে বাড়ির মালিক বৃদ্ধা মিনার বেগম। তাদের সম্পর্ক বাহিরে প্রকাশ হওয়ার ভয়ে প্রেমিক প্রেমিকা মিলে বৃদ্ধাকে ওড়না দিয়ে প্যাচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে অন্তর দাস পকেট থেকে ছুড়ি বের করে প্রথমে জবাই করে ও পরে হাত ও পায়ের রগ কাটে। গতকাল রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে প্রেরণ করলে সেখানে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ধারায় জবানবন্দিতে এ কথা বলেন গ্রেফতারকৃত কিশোরী সাইফা (১৭) আক্তার।
কিশোরী সাইফা আদালতকে আরো বলেন, গত ৬ডিসেম্বর রাতে প্রথমে বৃদ্ধা মিনরা বেগমকে হত্যা করে সাইফা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে এবং অন্তর দাস পালিয়ে যায়।
আদালতের বরাত দিয়ে ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া আরো জানায়, তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের শিপন সরকারের মেয়ে সাইফা আক্তার এবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়ে এক বিষয় ফেল করেছে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথেই ৭/৮মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার গোপচর গ্রামের অন্তর দাস নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং অন্তর দাস সাইফার সাথে প্রায়ই দেখা করতো।
ঘটনার কিছুদিন পূর্বে সাইফাদের বাড়ীতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলতে থাকায় দূর সম্পর্কের আত্মীয় ভিকটিম মিনারা বেগমের বিল্ডিংয়ে সাইফাসহ ছোট দুই ভাই থাকতো। এই সুবাধে প্রেমিক অন্তর দাস সাইফার সাথে রাতে দেখা করার উদ্দেশ্যে রুমে প্রবেশ করলে ভিকটিম মিনারা বেগম দেখে ফেলে। এ ঘটনা যাতে বাহিরে মিনরা বেগম প্রকাশ করতে না পারে সেই ভয়ে তারা তাকে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, গত ৬ডিসেম্বর রাতে তিতাসের জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামে মিনরা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।
এঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে তিতাস থানায় একটি মামলা দায়েরের ১মাস ৭দিন পর হত্যা রহস্য উদঘাটন ও জড়িত দুই আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে ডিবি পুলিশ।