জানালার গ্রিলে ঝুলছিল স্কুল ছাত্রীর মরদেহ

‘ মেয়ে চেয়েছিল পরোটা খেতে,আয় না থাকায় ডাল ও আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে বলি ’ # ঘটনাস্থল : মিয়া বাজারের ঘাসি গ্রাম
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

কুমিল্লায় জানালার গ্রিলে গলায় গামছা পেছানো ঝুলন্ত এক স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়া বাজার এলাকার ঘাসিগ্রামের ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু ফারজানা আক্তার বৃষ্টি (১০) কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামের অটোরিকশা চালক ফারুক আহমেদের মেয়ে। বৃষ্টি চৌদ্দগ্রামের মানিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
বৃষ্টির বাবা ফারুক আহমেদ জানান, আমার মেয়ে সকাল ৭টায় মক্তবে যায়। স্ত্রী একটি গার্মেন্টে কাজ করে। তিনবছরের ছেলেকে বাসায় রেখে সে কাজে যায়। সকাল ৮টায় বাসায় ফিরে বৃষ্টি আমার কাছে পরোটা খাওয়ার আবদার করে। আয় রোজগার কম হওয়ায় মেয়েকে পরোটা কিনে দিতে পারিনি। তাকে ডাল ও আলু ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে বলি। এরপর আমি অটোরিকশা নিয়ে বেরিয়ে যাই। হঠাৎ পাশের কক্ষের ভাড়াটিয়া কল করে আমাকে বাসায় আসতে বলে। এসে দেখি মেয়ের মরদেহ ঝুলছে।
আরো বলেন,মেয়ের আত্মহত্যার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা ধারণা করছি তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বাসায় সিসিটিভি আছে। সেটা পরীক্ষা করলে আসামি শনাক্ত হতে পারে।
বাড়ির মালিকের মা মমতাজ বেগম বলেন, বৃষ্টি শ্রবণ প্রতিবন্ধী। বাবা-মা না থাকলে সে ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তারা দেড় বছর ধরে এ বাসায় আছে। কারো সাথে তাদের ঝামেলা নেই। মঙ্গলবার বৃষ্টির বাবা কান্নাকাটি শুরু করলে আমরা দেঁৗঁড়ে আসি। এরপর দেখি বৃষ্টির মরদেহ ঝুলছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা জানান, শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় স্বাভাবিক যে দাগ থাকার কথা সেটা পেয়েছি। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।