উইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ দল যখন আনন্দে মেতেছে, দেশের ঘড়িতে তখন ছুঁয়েছে রাত ৩টার কাটা। হয়তো আনন্দ নিয়েই ঘুমাতে গিয়েছিলেন টাইগার ক্রিকেট সমর্থকরা। তবে দেশের আকাশে ভোর নামতেই যেন বাজল বিষাদের বিউগল।
কারণ এদিন ভোরেই যে বাংলায় ১১ ও ইংরেজিতে ৯ শব্দের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে ক্রিকেটের তিন দরজার একটি নিজের জন্য চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন তামিম ইকবাল খান। ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক টি-২০ থেকে নিজের বিদায়ের।
ঠিক ৩ দিন আগে আরো একটা ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম। ক্যারিবীয় সফরে এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর প্রেজেন্টেশনে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক জানান, ২০২৩ বিশ্বকাপ দিয়ে এই ফরম্যাটের ইতি টানতে পারেন তিনি। সঙ্গে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথাও উল্লেখ করেন।
সে সময় তামিম বলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপ সম্ভবত আমাদের সবার জন্য সবচেয়ে বড় ইভেন্টের একটি হবে। বিশেষ করে আমাদের চারজনের, (আমি, সাকিব, মুশফিকুর এবং মাহমুদউল্লাহ) যাদের সম্ভবত সেখানেই শেষ হবে (ক্যারিয়ার)। আমাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম সমন্বয় তৈরি করতে হবে এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
তবে টি-২০ ফরম্যাট থেকে অবসরের দিন ওয়ানডেতে অবসর নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন তামিম। এবার জানালেন, কথা প্রসঙ্গে বা কথার টানে আগের কথাগুলো এভাবে বলে ফেলেছেন তিনি। ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলেই অবসরের ভাবনা নয়। বরং ২০২৩ বিশ্বকাপ তাদের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।
তামিম বলেন, ‘একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিতে চাই। গত প্রেজেন্টেশনে বলেছিলাম- আমাদের ৪ জনের সম্ভবত ইতি ঘটবে ২০২৩ বিশ্বকাপে। এটা আসলে ‘স্লিপ অব টাং’ ছিল। আমি বলতে চেয়েছিলাম এটা আমাদের ৩ জনের শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। বাকিরা কখন শেষ করবে, কতদিন বলবে এটা তো তাদের ওপর। আমারও ইচ্ছা আছে (আরো খেলার)। অনেক সময় বিতর্ক হয়ে যায়, তাই পরিস্কার করলাম।’
এদিন ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপে নিজের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০২৩ বিশ্বকাপ (জয়), কোনো সন্দেহ নেই। ওই প্রক্রিয়াতেই আমরা আছি। আমি খুব সামনে তাকাতে চাই না। কী হয় না হয়, কে ইনজুরিতে পড়ে, কে না থাকে দলে। কোন কম্বিনেশনে আপনি খেলবেন, গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় না থাকলে আপনি এই কম্বিনেশনে এগোতে পারবেন কি না এসব ধারণা অল্প অল্প আসা শুরু হয়েছে। দল পুরো প্রস্তুত আমি এটা বলব না। তবে আমরা ধারণা পাচ্ছি।’