ঢাকায় আজ পাতালরেল নির্মাণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বাংলাদেশ এরই মধ্যে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করেছে। এটি উড়ালপথে চলছে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত। এবার হবে দ্বিতীয় মেট্রোরেল, যা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রেললাইন মাটির নিচে নির্মিত হবে। এটিই মেট্রোরেলের প্রথম পাতাল যাত্রা। মাটির নিচ দিয়ে চলবে বলে এটি পাতালরেল নামে পরিচিতি পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই পাতালরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বেলা ১১টায় এ বিশাল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

পাতালরেল হচ্ছে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি-১) প্রকল্পের আওতায়। এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর-৪ এ এমআরটি লাইন-১ –এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। তিনি জানান, সরকার ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে এবং এলিভেটেড উভয় সুবিধা সম্বলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে। এই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবে ডিএমটিসিএল।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী এমআরটি লাইন-১-এর দুটি অংশ থাকবে- একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট)। এর দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুন বাজার থেকে প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে। অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুন বাজার এবং নদ্দা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ। বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জাইকা) এমআরটি লাইন-১-এর নির্মাণকাজের ব্যয় বহন করবে। জাইকা প্রকল্প সহায়তা (পিএ) হিসেবে দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। জাপানি ফার্মের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম বিমানবন্দর-কমলাপুর-পূর্বাচল মেট্রো লাইন নির্মাণ কাজ তদারকি করবে।

এই রুটে স্টেশন হবে মোট ১২টি। এগুলো হলো- বিমানবন্দর, বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, উত্তর বাড্ডা, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, মালিবাগ, রাজারবাগ ও কমলাপুর।

আর পূর্বাচল রুটে নতুন বাজার স্টেশনটি হবে পাতালে। এরপর নতুন বাজার থেকে পূর্বাচলের নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়ালপথে। এ রুটে আবার স্টেশন হবে নয়টি।

এগুলো হলো- নতুন বাজার, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল পশ্চিম, পূর্বাচল সেন্টার, পূর্বাচল পূর্ব, পূর্বাচল টার্মিনাল ও পিতলগঞ্জ ডিপো।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এটি নির্মাণ হলে দৈনিক আট লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।