ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কে নেমেছে কুমিল্লার ডিসি-এসপি

ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি কমাতে
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনে গ্রামে ছুটে যাবে মানুষ। ঈদ যাত্রায় যানজটের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্তত ১০ জেলার যানবাহন চলাচল করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ দিয়ে। দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ রাখতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডসহ যানজটের গুরুত্বপূর্ণ স্পট পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, ক্যান্টনমেন্ট, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরিপুর, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা পরিদর্শন করেন তাঁরা।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে আমরা ঈদ যাত্রা কে একেবারে নির্বিঘ্ন ও যানজট মুক্ত করতে আজকে থেকে আমাদের সকল পর্যায়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী যারা আছেন সকলেই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবে।

জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন- আমরা যে কোন কিছুর বিনিময়ে হাইওয়ে সচল রাখতে চাই। কোন অবস্থাতে যাতে অচল না হয়। অচল থাকার সম্ভাব্য কারণগুলো আমরা ঘুরে দেখছি এবং সকলের সহযোগিতায় আমরা কতগুলো সমস্যা সনাক্ত করতে পেরেছি। যেমন অবৈধ মারুতি বাস গাড়ির বে গুলো দখল করে রাখে। এই কারণেই লোকাল বা যাত্রীবাহী বাসগুলো মেইনলেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে। সে কাজটা যাতে না করতে পারে আমরা সেটা দেখছি।

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ২৩১ কিলোমিটার সড়ককে ভোগান্তিমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

এই বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হক সরকার বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোত কিছুটা যানজট রয়েছে। তবে এবার ঈদে নির্বিঘ্নে সকলে বাড়ি ঈদ উদযাপন করতে পারবে মানুষ। কোনো দুর্ঘটনাজনিত কারণে কিংবা টোলপ্লাজায় যদি যানবাহনের জটলা তৈরি হয়, সেজন্য হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নানান ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।পাশাপাশি মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে আমাদের নজরদারি থাকবে।