‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে বেলা সাড়ে ১১টায় এ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে ইশরাকের সমর্থকদের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের বড় একটি অংশ যুক্ত আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা নগর ভবনের ভেতরের ফটকে অবস্থান নিয়ে মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা, মানি না মানব না’, ‘দাবি মোদের একটাই, মেয়র ছাড়া অফিস নাই’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না। জনতার মেয়র ইশরাক হোসেনকে জনতার দায়িত্ব নিতে দিতে হবে। এর বিকল্প হলে ঢাকাবাসী কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
নগর ভবনে বিক্ষোভ শুরু হয় ১৪ মে। ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে সংগঠিত হয়ে আন্দোলনে নামেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও ইশরাকের সমর্থকেরা। মাঝে ৪৮ ঘণ্টার বিরতির পর আবার তাঁদের কর্মসূচি শুরু হয়। টানা ১৬ দিনের আন্দোলনে নগর ভবনের সব সেবা বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
দুপুর ১২টার দিকে নগর ভবনের সামনে কথা হলো হেকমত আলীর সঙ্গে। তিনি বেচারাম দেউরি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। কাজ হচ্ছে না। কর্মচারীরা বলেছিল, আজকে ১২টার পর অফিস খুলবে। এ কারণে আজকে আবার এসেছি। কিন্তু দেখি তালা মারা।’
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় এবং ইসির গেজেটের কার্যক্রম–সংক্রান্ত বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা লিভ টু আপিলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ। এ জন্য নোটিশ ইস্যুর কথা জানিয়ে আজ শুনানির দিন রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।