তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুবি ছাত্রলীগের মারামারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা ।। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে একে অপরকে পথ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজ আদায় করে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে দেখেন তাঁরা। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠি হাতে নিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবারের মারামারির সূত্রপাত ঘটে জুমার নামাজের আগে কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগ নেতা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রায়হানকে নামাজে যাওয়ার জন্য পথ দেওয়াকে কেন্দ্র করে। তিনি বঙ্গবন্ধু হল হয়ে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের কর্মী সেলিম রেজা ও রিফাতসহ কয়েকজন তাঁর সামনে দিয়ে ধীরগতিতে হাঁটছিলেন। নামাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁদেরকে পথ দিতে বলেন আশরাফুল রায়হান। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নামাজ শেষে আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রেজা ও রিফাতরা। এ থেকেই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন উভয় হলের নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগকর্মী সেলিম রেজা বলেন, হলের গলি দিয়ে হাটাঁর সময় রায়হান ভাই হুট করে পিছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে বলে তুই সরে দাঁড়া। নামাজ শেষে বিষয়টি বন্ধুদের জানালে তারা রায়হান ভাইয়ের কাছে জানতে চায় কেন সে এমন আচরণ করেছে। ওনি উল্টো আমাদেরকে বেয়াদব বলে মারার হুমকি দেন।
তবে আশরাফুল রায়হান বলেন, আমি নামাজে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু হলের ভিতর দিয়ে তাকে সাইড দিতে বলায় নামাজ শেষে আমাকে ডেকে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি তাঁদেরকে ধাক্কা দেইনি, বলেছি তাড়াতাড়ি হাঁট নইলে জায়গা দে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাইল ইসলাম মাজেদ বলেন, নামাজ থেকে বের হয়ে দেখি দুই হলের ছেলেদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছে। আমি তখন তাদেরকে নিজেদের হলে চলে যেতে বলি। উভয় হলের নেতাকর্মীদের সাথে বসে এটা মিমাংসা করে দেবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে এসেছি।