দেবিদ্বারে গণপিটুনির ২দিন পর যুবকের মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

দেবিদ্বারে গণপিটুনির কারনে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে করা মামলায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের মা মোসাঃ আয়শা বেগম বাদী হয়ে গত রোববার দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের
মঙ্গলবার সকালে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, দেবিদ্বার উপজেলার বাগুর শান্তিনগর এলাকায় চোর সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভোরে চান্দিনা উপজেলা সদরের মহারং এলাকার বাবুর্চি মিজানুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান (১৯) কে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে পুলিশী ঝামেলার ভয়ে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এদিকে শনিবার (১৪ জানুয়ারী) ভোরে আহতের অবস্থার অবনতি হলে তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। নিহত আশিকুর রহমান পেশায় রিকশা চালক ছিলেন।
ওই ঘটনায় নিহতের মা আয়েশা বেগম (৩৭) বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঘটনার ৩ দিন পর রোববার (১৫ জানুয়ারী) দেবিদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-১১/১১)।
মামলা দায়েরের পর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) খাদেমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ১৫নং বরকামতা ইউনিয়নের বাগুর শান্তিনগর এলাকার এজহার ভূক্ত আসামী মো. আবুল কালাম (৪৫) ও তার ছেলে মো. রিফাত হোসেন(২২) কে আটক করে।
মামলায় এজহারভূক্ত অন্যান্য আসামীরা হলেন, বরুড়া উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত হাজী লাল মিয়ার পুত্র মো. আবুল কালাম(৩৭), চান্দিনা পৌর এলাকার মহারং গ্রামের মৃত: কেরামত আলীর পুত্র আয়াত আলী(৬০)। দেবিদ্বার উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র মিজানুর রহমান ওরোফে চাউল মিজান(৫০)।

এ ব্যপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর জানান, গণপিটুনীর ঘটনাস্থল দেবিদ্বার একথা কেউ আমাদের জানায়নি। এরই মধ্যে চান্দিনা থানা ভিক্টিমের লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করে ফেলে। ভিক্টিমের পরিবারও থানায় মামলা করতে আসেনি। পরে জানতে পেরে ভিক্টিমের পরিবারকে ডেকে এনে মামলা নিয়েছি। অভিযান চালিয়ে এজাহারভূক্ত দু’জন আটক করেছি, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার সকালে কোর্ট হাজতে চালান করেছি।