দেশে বাংলায় প্রথম ককবরক ভাষার বই কুমিল্লার ত্রিপুরা পল্লীতে খুশির আমেজ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

বাংলাদেশে বাংলা বর্ণমালায় প্রথম কুমিল্লায় ককবরক ভাষার বই প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুরসহ অন্যান্য এলাকায় বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মাঝে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের মাতৃভাষা ককবরক বইয়ের উদ্বোধন করা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইব্রেরিতে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বই হাতে পেয়ে শিশুরা পড়তে শুরু করে ‘আং বাংলাদেশ ন হামজাগু’। তার মানে আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি।
সূত্রমতে, গত ২৭ মার্চ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিশুদের মাতৃভাষায় ককবরক মাতৃভাষা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় স্থানীয়দের দাবি ছিলো তারা যেন নিজের ভাষার বই পান। সেই দাবি পূরণ করতে উদ্যোগ নেন সদর দক্ষিণ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ।
ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর এবং জামুড়া এলাকায় ৪৫-৫০ টি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করেন। কালের বিবর্তনে ত্রিপুরা অধ্যুষিত এই এলাকায় এখন এই সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় স্কুল নির্মাণ শেষ করেছি। দেশে ইংরেজি শব্দে ককবরক ভাষার বই থাকলেও বাংলা বর্ণমালায় এই প্রথম ককবরক ভাষার বই প্রকাশ করা হয়েছে। আজ তাদের হাতে ককবরক ভাষার বই তুলে দিতে পেরে আনন্দ লাগছে।
কুমিল্লা ত্রিপুরা পল্লী সমবায় সমিতির সভাপতি সজিব ত্রিপুরা বলেন, আমরা ককবরক ভাষায় কথা বলতে পারি। তবে চর্চা না থাকায় আমরা ভুলতে বসেছিলাম আমাদের মাতৃভাষা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতার কারণে আমাদের প্রজন্ম আবারো মাতৃভাষা শিখতে পারবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আজ আমরা ২৭ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ককবরক ভাষার বই তুলে দিলাম। ককবরক ভাষা টিকিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করবো। এই বই সারা দেশে বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোকজন চাইলে নিতে পারবেন বলেও তিনি জানান।