নগরীকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুলের ব্যতিক্রম উদ্যোগ 

মুন্সী ফারুক আহমেদ একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ সপ্তাহ আগে

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

কুমিল্লা টাউনহল ফটক ও সড়ক পরিছন্ন করেছেন শিশুরা। শুক্রবার (১০ মে) সকালে পরিষ্কার, পরিচ্ছনতা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন অর্ধশতাধিক শিশু। “আপনার নগরীকে পরিষ্কার এবং সবুজ রাখুন” স্লোগানে বড়দের সাথে কাজ করছে চার থেকে ছয় বছরের শিশুরা। হাতে গ্লাভস পরে পলিথিন ও কাগজ কুড়িয়ে ঝুড়িতে রাখেন সবাই।  তারা সবাই নগরীর রাজাপাড়া “চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুল” এর শিক্ষার্থী। ছোট ও বড়দের অংশ গ্রহণে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।

পরিষ্কার, পরিচ্ছনতা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বন্দর মুন্সী ফারুক আহমেদ কলেজ ও চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা মুন্সী ফারুক আহমেদ, অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও চিত্রনির্মাতা জনাব কামাল উদ্দিন আহমেদ,  নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রকৌশলী মো. এরশাদ। আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রিন্সিপাল কাজল রাণী শীল, সহকারী শিক্ষক রৌশনারা বেগম, জাকিয়া সুলতানা চামেলী,হেলাল চৌধুরী এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ক শিক্ষক তানিম আহমেদ।

ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুলের কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীরা কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গন পরিচ্ছন্ন করেন।

এ সময় চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুলের প্রতিষ্ঠাতা মুন্সী ফারুক আহমেদ বলেন, আজকের শিশুরা আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক। প্রয়োজন। আমরা চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুলের মাধ্যমে সমাজকে বার্তা দিতে চাই। দৈনন্দিন কাজগুলো শিশুরা নিজের কাজ নিজে করতে পারে সে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এখানে আমরা ব্যতিক্রম। চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুল ২০১৮ সালে পথচলা শুরু করে।

নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ করে তিনি আরো বলেন, আমরা যেখানে সেখায় ময়লা ফেলবো না। পরিষ্কার না করতে পারি, আমার দ্বারা যেনো এ নগরী অপরিচ্ছন্ন না হয়।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুন্সী ফারুক আহমেদ একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। তিনি বিমান বন্দর মুন্সী ফারুক আহমেদ কলেজ, রাজাপাড়া মুন্সী এম আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সী এম আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুন্সী ইউনুছ মিঞা গবেষণা কেন্দ্র ও সংগ্রহ শালা, মুন্সী ফাউন্ডেশন, চিলড্রেন হেভেন লাইফ ইশকুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও মসজিদ-মাদরাসা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে নেপথ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।