বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও এল জি ই ডির উপজেলা প্রকৌশলীর পদ বছরের পর বছর শূণ্য থাকায় সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়মিত কর্মকর্তা না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের ২৩টি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন বিল-ভাউচার পাস করতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের অফিস সহকারিদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তার পদ শূণ্য থাকায় ওই বিভাগগুলোর কর্মচারীরা নিজেদের খেয়ালখুশিমতন কাজ করেন। এতে করে বিভিন্ন বিভাগের কাজকর্মেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল থেকে উপজেলা প্রকৌশলী পদে অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করছেন বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। মাঝে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে একই বছরের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১৭ দিন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে উজ্জ্বল চৌধুরী দায়িত্ব পালন করেন। আবার ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত আবদুল্লাহ আল মামুন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালে ১১ জুলাই থেকে এখনো পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে অহিদুল ইসলাম সিকদার উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, গত ৭ মার্চ থেকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার পদ শূণ্য রয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহিদুর রহমান সপ্তাহে দু‘দিন নাঙ্গলকোটে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদ শূণ্য রয়েছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ এরশাদুল আলম সপ্তাহে দু‘দিন নাঙ্গলকোটে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্তকর্তার ১টি পদ, সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তার পদ শূণ্যসহ উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের ১৭টি পদ শূণ্য রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একটি বিভাগের একজন প্রধান সহকারি বলেন, গত ৬/৭বছর থেকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পদ শূণ্য থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতাসহ বিভিন্ন বিল পাস করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।