পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৩৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

চাঁদপুর প্রতিনিধি  : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের কামড়ে গত দুইদিনে আরো ৩৬ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে ২১ জনকে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিরা বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।

গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) অন্তত ২০ জন ও গতকাল বুধবার ১৬ জনকে পাগলা কুকুরে কামড়িয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ৩০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বালুচর গ্রামের জেসমিন (৪৫), আদুরভিটি গ্রামের লামিয়া (৮), সাইদুল ইসলাম (১৭), মলিনা বেগম (৬৫), দেওয়ানজিকান্দি গ্রামের শারমিন (২৫), রহিমা বেগম (৫২), পাঁচগাছিয়া গ্রামের মো. শাহিন (৩০), ফতেরকান্দির আবদুল্লাহ (৩), জীবগাঁও গ্রামের মরিয়ম (৬০), জজনগরের আসমা (৪০), ছেংগারচরের তুফরা বেগম (৬০), খোকন (৪০) ও ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. কিবরিয়া। এদের মধ্যে আসমা বেগমের হাতের আঙুল কুকুর কামড়িয়ে নিয়ে গেলে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে, জুনাঈদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে, তৃপ্তি আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পৌর শহরের বাসিন্দা জেসমিন বেগম জানান, বুধবার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তায় হাঁটতে গেলে পেছন থেকে একটি কুকুর এসে হঠাৎ পা কামড়ে ধরে। পরে এলাকার লোকজন এসে ধাওয়া দিলে কুকুর পালিয়ে যায়।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, গত দুইদিনে মতলব উত্তর উপজেলা বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নিয়েছেন।

মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কুকুর নিধন দণ্ডনীয় অপরাধ। সেক্ষেত্রে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই শিগগিরই পৌরসভা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আলোচনা করে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হবে।