পুকুর খননে ভেঙে পড়ে মাধ্যমিক স্কুল ভবন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

গভীর রাতে ভেকুর সাহায্যে পুকুর থেকে মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে।এমন সময় পাশেই রায়পুর কৈলাশ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টির ভবন ভেঙে পড়ে।তখন আশপাশ থেকে ছুটে আসে এলাকার জনগণ।ভবন ভেঙে যাওয়াই এলাকার মানুষ জড়ো হওয়াই ঠিকাদার রিপন মুন্সি মাটি উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়।

ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ২১ নং ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের রায়পুর বাজার এলাকায়।

এলাকাবাসী জানান,এই স্কুলটি ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠা হয়।এরপর ১৯৯৫ সালে এই স্কুলে ১ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়।এরপর থেকে শতশত শিক্ষার্থী এই ভবনেই ক্লাস করতো।গত কয়েক বছর আগে স্কুলের জন্য একটি নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দ পায়। অলরেডি ওই নতুন ভবনের কাজ প্রায়ই শেষ।এখন উদ্বোধনের পালা।এরমধ্যে গতকাল সকালেও ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।রাতেই মাটির কাজ চলাকালীন সময়ে ভবনটি ধ্বসে পড়ে।

আবার কেও বলছে,পুকুর থেকে মাটি কাটার সময়ে ভবনটিতে চাপ পড়েছে ।এতেই ভবনটি ভেঙে পড়ে যায়।শিক্ষার্থীরা নতুন ভবনে ওঠার পর এই কাজটি শুরু করলে হয়তো ভালো হতো।

এই বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষ জানলে ছুটে আসে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল মমিন।ভবন ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী অফিসার মহিনুল হাসান পরিদর্শন করে।

ওই স্কুলের পাশেই পুকুরের বাঁধ নির্মাণের ঠিকাদার রিপন মুন্সি বলেন,ভবনটি এমনিতে নড়বড়ে হয়ে আছে।আমিতো পুকুরের বাঁধ দিতে কাজ করছি।ভেকু দিয়ে কাজ চলাকালীন সময়ে স্কুলটি ভেঙে পড়ে।ভাগ্যিস কোনো ছাত্র-ছাত্রী ছিলোনা।

রায়পুর কৈলাশ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোমেন ভূঁইয়া বলেন,এলজিডির সরকারি প্রজেক্ট থেকে পুকুরের কাজ করার একটি বরাদ্দ ছিলো।ওই কাজ চলাকালীন সময়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে।স্কুল কমিটির সভাপতি অসুস্থ থাকায় অন্যান্যদের নিয়ে কাল এ বিষয়ে মিটিং করা হবে।

দাউদকান্দি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একে এম ফজলুল হক বলেন,বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।এমনিই ভবনটি পুরাতন,তার মঝে পুকুর খনন করে বাঁধ দেওয়া হওয়ার সময় এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।অফিস খুললে এই বিষয়ে আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।

দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী অফিসার মহিনুল হাসান বলেন,পুকুরের বাঁধ নির্মাণের কাজ চলাকালে রাতে স্কুলের ভবনটি ধসে পড়ে।এতে স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ আকারে দরখাস্ত করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।আমি নিজেই আজ সরকারি ছুটির দিনে স্কুলটি পরিদর্শন করে এসেছি।শিক্ষার্থীরা এখন থেকে নতুন ভবনে ক্লাস শুরু করবে।আর এই বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্মকর্তারাও অবগত হয়েছে।

কুমিল্লা মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনুছ ফারুকী বলেন,স্কুল ভবনটি পুরাতন ছিলো।পুকুর সংস্কারের কাজটি এখন না করলেও পারতো।যেহেতু ঘটনা ঘটেই গেছে তার জন্য আমরা স্কুলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে স্কুল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।