ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ,পশুবাহী ট্রাক চলাচলে স্বস্তি

শাহাজাদা এমরান।।
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১১০ কিলোমিটার অংশে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে যানবাহন বাড়লেও মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। যানবাহনের তেমন চাপও নেই। তবে ট্রাকে ট্রাকে কোরবানির পশু আসছে। পশুবাহী ট্রাকের চালক ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মহাসড়কে যাত্রা স্বস্তিদায়ক। তারা এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার চাঁদাবাজির মুখে পড়েননি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মহাসড়কের দাউদকান্দি, চৌদ্দগ্রাম, পদুয়ার বাজার, বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় দুপুর ১২টার দিকে কিছু যানজট দেখা যায়।
সকাল থেকে এসব সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহন নিয়ম নেমে চলাচল করছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে বেশি যানবাহন দেখা গেলেও যানজট দেখা যায়নি। মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। আর এতে স্বস্তিতে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রী ও চালকরা।
ট্রাকে ট্রাকে গরু নিয়ে ব্যাপারীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন হাটে যাচ্ছেন। জসিম মিয়া ফেনী থেকে ৮টি গরু নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরু নিয়ে স্বস্তিতে দূরের পথ পাড়ি দিয়েছেন। কোথাও সমস্যা হয়নি। এমনকি, চাঁদাবাজির ঝামেলাও নেই। আরও কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া গেছে। ট্রাক চালকরাও একই কথা জানান।
কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সড়ক ঝামেলামুক্ত রাখতে কুমিল্লায় অঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ছাড়াও কুইক রেসপন্স টিম, অতিরিক্ত উদ্ধারকারী রেকার এবং তথ্য সংগ্রহ করার জন্য হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
ঈদ উপলক্ষে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নে ৪৪টি মোবাইল টিম, ৩৪টি পিকেট টিম, ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কের ২২ থানায় ২২টি কুইক রেসপন্স টিম, ইন্টেলিজেন্স টিম কাজ করছে।
এদিকে,বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমসার বাজার ও গৌরীপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি মহাসড়কের পাশে থাকা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি খায়রুল আলম বলেন, কুমিল্লা রিজিয়নে ১২৭টি কোরবানির পশুর হাট বাসার কথা রয়েছে। মহাসড়ক সংলগ্ন রয়েছে ২৬টি গরুর হাট। এর মধ্যে ছয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে মহাসড়ক এলাকায় কোনো কোরবানির পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। হাইওয়ে সংলগ্ন যেসব কোরবানির পশুর হাট রয়েছে, সেগুলোর প্রতি বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কেউ কোথাও কোনো পশুবাহী যানবাহন থামাতে পারবে না। পশুবাহী যানবাহনের নিরাপত্তায়ও হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। গত রোজার ঈদের মতো পরিকল্পনামাফিক মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মহাসড়কে বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানি পশু নির্বিঘ্নে যেন আসতে পারে, এ জন্য রাত ও দিন ২৪ ঘণ্টা হাইওয়ে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। রোজার ঈদের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারবেন আশা করেন তিনি।