‘বাংলার বাদশা’র দাম ২৫ লাখ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় গরুটি এখন আড়াইহাজারে। নাম ‘বাংলার বাদশা’। বাংলার বাদশাকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে আসছেন। বিশাল আকৃতির এই গরুটির উচ্চতা ২০১ সেন্টিমিটার, ৩৩৫ সেন্টিমিটার লম্বা আর ওজনে  প্রায় ১ হাজার ২শ কেজি; যা ওজনে ৩০ মণ।

‘আমিষ এগ্রো’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান বিল্লাল জানান, ‘বাংলার বাদশা’কে দেখাশোনা করেন ২ জন লোক। তার খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, ভুট্টা ভাঙ্গা, সয়াবিন মিল, সরিষার খোল, রাইস পলিশ এবং সবুজ কাঁচা ঘাস। ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুকে প্রতিদিন দুইবার করে গোসল করাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, গরুটির দাম ২৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। তবে দাম দরে মিলে গেলে কিছু কম হলেও বিক্রি করে দেবেন।

মতিউর রহমান বিল্লাল আরও বলেন, ‘বাংলার বাদশা’ খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় হয়। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখেছি সে অনুযায়ী দাবি করতে পারি যে, এই গরুই বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় গরু। কয়েক বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করে আসছি। ঈদে বিক্রি হয়ে যাবে, এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে। এবার ঈদে যদি বাইরে থেকে গরু না আসে, তাহলে হয়তো আমরা আমাদের প্রকৃত মূল্য পাব। আশা করি ষাঁড়ের ন্যায্য দাম পাব। দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

সরাসরি যোগাযোগ করে যে কেউ গরুটি কিনতে পারবেন অথবা চাইলে যে কেউ ঘরে বসে অনলাইনে https://jachai.com/ এর মাধ্যমে গরুটি ক্রয় করতে পারবে।

মতিউর রহমান বিল্লাল আরও জানান, তাদের কাছে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আরও পাঁচ শতাধিক গরু, ১০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শতাধিক ছাগল, ৮০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫৪টি দুম্বা কোরবানির জন্য বিক্রয় উপযোগী রয়েছে; যা ক্রেতারা চাইলে সরাসরি এসে অথবা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে  ক্রয় করতে পারবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার বলেন, এবারো ক্রেতাদের চাহিদা ও সুবিধার কথা চিন্তা করে হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু কেনাবেচার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অনলাইন খামারে গরু বেচাকেনা জমে উঠেছে। এবার অনলাইনে পশু বিক্রি ২০০ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে খামারিরা আশা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের মেডিকেল টিম। বাইরে থেকে দেশে গরু আসবে না। তাই আশা করি খামারিরা ন্যায্য দামই পাবেন।