বুড়িচংয়ে স্কুল ছাত্র রমজান হত্যা মামলায় ২জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নারায়ণসার গ্রামের প্রথম শ্রেণির স্কুল ছাত্র রমজান আলী (৮) হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
রবিবার (১৩ আগষ্ট) বিকালে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নারায়ণসার গ্রামে মৃত সৈয়দ আব্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আজাহারুল ইসলাম রিপন (পলাতক)।
আদালত রায় ঘোষণার পর পলাতক রিপনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশকে।
এ মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মাসুম ও মো: রনিকে নামে দুইজনকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ জুলাই হাবিল মিয়ার ছোট ছেলে মোহাম্মদ রমজান আলী (৮) খেলাধুলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজ করে। প্রায় দুই তিন ঘণ্টা খোঁজ করার পর তারা বুড়িচং থানায় একটি জিডি করে। এর পরের দিন ক্যান্টনমেন্ট পাওয়ার হাউজের পাশে রমজানের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। এরপর, এক অজানা ফোন নাম্বারে হাবিল মিয়াকে কল দিয়ে একজন বলে, তাদেরকে আইয়ুব আলী তিন লক্ষ টাকা দিয়েছে রমজান আলীকে মারার জন্য। এরপর, হাবিল মিয়া বাদী হয়ে আইয়ুব আলী ও মাসুমকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মোঃ রনি ও আজহারুল ইসলাম রিপনকে মামলার অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, সকল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত এই রায় প্রদান করেছে। আইয়ুব আলী সম্পর্কে হাবিল মিয়ার চাচাতো ভাই। হাবিল মিয়ার সাথে আইয়ুব আলীর সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দের জেরে এই হত্যাকান্ড হয়েছে।
মামলার বাদী হাবিল মিয়া বলেন, ৪ জন আসামীর মধ্যে ২ জনকে ছেড়ে দিছে, আরেকজন পলাতক। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নয়। আমার ছেলেকে নিয়ে আমার স্বপ্ন ছিলো বড় হলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বানাবো। সেটা আর হয়নি। আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি চেয়েছিলাম, কিন্তু তাও হলো না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সুদীপ্ত কুমার বলেন, ২০০৮ সালের তদন্ত শেষ করে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।