বুধবার (২৬ মার্চ) দিবসের প্রথম প্রহরে মহান স্বাধীনতা দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক দিদারুল আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হকসহ পুলিশ সদস্যরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ফারুকী পার্কে স্মৃতিসৌধে যান। কিন্তু জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেননি। পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন৷ শহীদদের উদ্দেশে সালামও তিনি দেননি। তিনি দূরে দাঁড়িয়ে কর্মসূচি প্রত্যক্ষ করেন।
টানা দুই জাতীয় দিবসে পুলিশের সর্বোচ্চ স্থানীয় কর্মকর্তা হিসেবে পুষ্পস্তবক অর্পণ না করায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কেন তিনি এমনটা করলেন?
পুলিশ সুপারের এই আচরণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই একে দায়িত্বহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন এবং সরকারি কর্মচারীদের জাতীয় দিবসের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রত্যেকেই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তবে সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে পালন করা উচিত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম বলেন, ‘আমি তাকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বলেছিলাম। কিন্তু তিনি উপস্থিত থাকলেও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাননি। আজও একই বিষয় হয়েছে। তিনি উপস্থিত থাকলেও তার দফতরের অন্য কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় সালাম ‘গার্ড অব অনারে’ অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধাচারে অংশ গ্রহণ করেননি।’
এ বিষয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবীব পলাশ বলেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবে আমরা জাতীয় দিবসগুলোতে শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধে গিয়ে থাকি, পুষ্পস্তবক অর্পণ করি। এটা এভাবেই হয়ে আসছে।’