ভিনদেশী ভাষা শিখবো তবে বাংলাকে অগ্রাধীকার দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

আবু সুফিয়ান রাসেল।।

নারী কন্ঠে কবিতায় কবিতায় একুশকে স্মরণ শিরোনামে টক-শো অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাতে দৈনিক আমাদের কুমিল্লা ও জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কুমিল্লার জমিনের যৌথ উদ্যোগে এ টক-শো অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক আমাদের কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহাজাদা এমরানের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন এথনিকা স্কুলের শিক্ষক নূরজাহান আকতার, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মর্ডান হাই স্কুলের শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন, লেখক ও সংগঠক সমীচীন সম্পা রাণী, অভয়চরণ নিত্যাঙ্গন, কুমিল্লার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পপি সূত্রধর।

এ সময় অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন অতিথিরা। একুশ নিয়ে তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনে মেয়েদের দৃশ্যমান ভুমিকাগুলোকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ভাষা আন্দোলনে নারীদের ভুমিকা অপরিসীম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও নারীদের ভূমিকা রয়েছে এ আন্দোলনে। আন্দোলন ও সংগ্রামের সুতিকাগার বলে খ্যাত কুমিল্লার এক সংগ্রামী নারী অধ্যাপিকা লায়লা নূর। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার পদচারনা ছিলো অবিস্মরণীয়। তিনি ভাষা আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখেন।১৯৪৮ সাল থেকে বায়ান্নর সব আন্দোলনেই তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

বাংলা ভাষা চর্চার বিষয়ে অতিথিরা বলেন, আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন। এ কথাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন। আজকে অনেকে বাংলা লিখতে জানে না। বলে সে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বহু ভাষা জানতেন। তিনি বাংলাকে বেশী গুরুত্ব দিতেন। তিনি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনা করেছেন।
তাই আমরা বলি ভিনদেশী ভাষা শিখবো বাংলাকে বাদ দিয়ে নয় বরং অগ্রাধীকার দিয়ে।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা আরো বলেন, কবিতা ও নৃত্যের আলাদা ভাষা আছে। ফলে একটি বিষয় খুব সহজে বুঝানো যায়। আমরা দাবি জানাই সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করা হোক।