মানসিক রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তরুণী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

প্রেমের ফাঁদে ফেলে সিলেটে এক কলেজছাত্রীকে চার বছর ধরে ধর্ষণ করেছেন ডা. রমেন্দ্র কুমার সিংহ ওরফে আর.কে.এস রয়েল নামে মানসিক রোগের এক চিকিৎসক। তার কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে লালসার শিকার হয়েছেন ওই কলেজছাত্রী।

গ্রেফতার ডা. রমেন্দ্র কুমার সিংহ ওরফে আর.কে.এস রয়েল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও মনোরোগ বিভাগের প্রধান। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের শমসের নগরে।

অপরদিকে ভিকটিম কলেজছাত্রী পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি সিলেট শহরের বাগবাড়ি এলাকায় একটি মেসে (ছাত্রী হোস্টেল) থাকেন।

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই চিকিৎসক তরুণীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘মেয়েটি খুবই সুন্দরী, তাই নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। ’

ধর্ষিত তরুণী সিলেট এমসি কলেজে অনার্সে পড়েন জানিয়ে ওই চিকিৎসক পুলিশের কাছে আরও স্বীকার করেছেন, ২০১৮ সালে চিকিৎসা নিতে চেম্বারে আসলে তার (তরুণী) প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন।

পুলিশ জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত চার বছর ধরে ওই চিকিৎসক তরুণীটিকে একাধারে ধর্ষণ করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান অভিযুক্ত চিকিৎসক।

এ অবস্থায় গত রোববার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভিকটিম অভিযুক্ত চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করে বলেন, ‘আমাকে এ মুহূর্তে আপনার বিয়ে করতে হবে। আমার গর্ভে আপনার সন্তান। ’ এরপর তিনি থানায় এসে মামলা করলে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অভিযোগকারী তরুণী সেবা নিতে গেলে একপর্যায়ে তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ মামলা করার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।