বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মার্চে অংশ নিয়েছেন
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই মার্চে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ, এমনকি তরুণ প্রজন্মেরও উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
মিরপুর থেকে আসা মাদ্রাসাছাত্র হাফেজ মোহাম্মদ তায়েব বলেন, ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চলছে, তার বিরুদ্ধে আমরা মুসলমান হিসেবে চুপ থাকতে পারি না। তাই এই সংহতি সমাবেশে এসেছি।
সাভার থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, আমি দল করি না, ধর্মীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িতও নই। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে ফিলিস্তিনের শিশুদের কান্না আমাকে নাড়া দিয়েছে। তাই এখানে এসেছি।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম ইসলাম বলেন, সরায়েলের বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমাজকে জাগাতে হবে। বাংলাদেশ থেকেও সেই আওয়াজ তুলতে হবে।
এদিকে এই জনসমাগমের মধ্যেও রাস্তার গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি সড়কে। রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাকরাইল মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এবং কাকরাইল মসজিদ মোড়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়া জনতাকে সেসব জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনেও সংগঠনের ব্যানার বা পতাকা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনও বস্তু যাতে কেউ সমাবেশস্থলে নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য এই তল্লাশি। তল্লাশির সময় কালো কাপড়ে কালেমা লেখা কোনও কাপড় বা পতাকা পাওয়া গেলে সেগুলো রেখে দিতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
কাকরাইল মোড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র এএসপি (পিএমও) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছ। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। কেউ যাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ব্যানার বা পতাকা নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমরা সজাগ আছি। কর্মসূচিতে যাওয়া ব্যক্তিরা আমাদের সহযোগিতা করছেন, আমরাও তাদের সহযোগিতা করছি। কর্মসূচির কারণে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানি না হয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা যাতে স্বাভাবিক থাকে সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।’