মুরাদনগরে জনতার পিটুনিতে সন্দেহভাজন ২ ডাকাত নিহত আহত-১

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লার মুরাদনগরে ডাকাতি করে পালানোর সময় গ্রামবাসীর গণ-পিটুনিতে দুই সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় আহত হন একজন। নিহতরা হলেন- উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে নুরুমিয়া (২৮) পালাসুতা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন(২৭)। গুরুতর আহত অন্যজন সদর দক্ষিন থানার বাঘমারা গ্রামের সেলিম মিয়ার পুত্র শাহজাহান (২৮)। শুক্রবার রাতে মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন জানান, পুটিয়াজুড়ি থেকে ডাকাতি করতে গিয়ে ধাওয়া খেয়ে প্রায় ১০জনের একটি টিম পালাসুতা ঢুকে। এসময় পালাসুতা দাখিল মাদ্রসার কেন্দ্রীয় মসজিদের মাহফিল শেষে কিছু যুবক বাড়িতে যাওয়ার সময় ডাকাতদের সামনে পড়ে। যুবকরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে এদেরকে আক্রমন করে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়। এর মধ্যে তিনজন সন্দেহভাজন ডাকত ধাওয়া খেয়ে আশ্রয় নিতে সন্দেহভাজন ডাকাত নুরু মিয়ার শশুরবাড়ি পালাসুতা মধ্যেপাড়া নাবু মিয়ার ঘরে ঢুকে। এসময় গ্রামবাসী তাদের ঘর থেকে বেড়িকেড দিয়ে আটক করে গণপিটুনি দেয়।
১৯ নং দারো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, পালাসুতা, কাজিয়াতল, শুশুন্ডা, বাখরাবাদ, গরিয়া, রাণীমুরি ভোরার চর, নয়াকান্দি সহ আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামে গত একসপ্তাহ যাবত ডাকাতির উৎপাত বেড়ে গেছে । তাই গ্রামে লোকজন রাতভর বাড়ি পাহারা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত কাল রাতে তিনজনকে গ্রামবাসী আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে থানা পুলিশ এসে তাদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মুরাদনগর থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সন্দেহভাজন তিনজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে দুইজন মৃত্যুবরণ করেন। একজন চিকিৎসাধীন। শুক্রবার বিকালে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ আমি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। এসময় এলাকাবাসীকে শতর্ক করা হয়েছে আইন যেন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া হয়।