মুরাদনগরে ১২ ঘন্টা চলে লোডশেডিং

বিদ্যুৎ ব্যবহার কম, বিল আসে বেশি
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

এন এ মুরাদ ।। কুমিল্লার মুরাদনগরে অসহনীয় লোডশেডিং। প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘন্টা থাকেনা বিদ্যুৎ। অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও বিল উঠে পুরো। বিদ্যুৎ ব্যাবহার কম, বিল বেশী আসায় গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গ্রাহকরা বলছেন , ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১২ ঘন্টার উপরে বিদ্যুৎ থাকেনা। ১২ ঘন্টা বিদ্যুতের এই লোডশেডিংয়ের মধ্যেও আগের মতো বিল আসে। বিদ্যুৎ বিল হবে ব্যবহারের উপর- যেমন ব্যবহার তেমন বিল। কিন্তু এখানে বিদ্যুৎ বিলের নামে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায়না।
ক্ষুদ্র কলকারখানা- ওর্য়াকসব, ওয়েল্ডিং, শপিংমল, ও মেইল ব্যাবসায়ীরা বলছেন, “ ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় কোন কাজই করা যাচ্ছে না। কাজের নামে কর্মচারীদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। বিদ্যুৎতের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে ব্যবসা ছেড়ে পথে বসতে হবে। বিল নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তারা বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তারপরও মাস শেষে বিল আসে ষোল আনা। এটা বড় রকমের অনিয়ম ও অন্যায় ”।

এছাড়াও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকরা আছেন মহা-বিপদে চার্জের অভাবে গাড়ি চালাতে পারছেন না। এদের মধ্যে যারা ভাড়ায় গাড়ী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তাঁরা মালিক জমা উঠাতে পারছেন না। ফলে তিন বেলা খেয়ে বেঁচে থাকাটাই তাঁদের জন্য এখন স্বপ্ন ।

বিদ্যু সার্ভিস কম কেন? বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎতের উপকেন্দ্র দেবপুর সূত্রে জানা যায়, দেবপুর গ্রিড উপকেন্দ্রের আওতায় ২২ টি ফিডার রয়েছে। এই ফিডারগুলোর মোট চাহিদা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু তারাঁ পাচ্ছেন মাত্র ৪০- ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ । যার কারণে চাহিদা মতো কোন ফিডারে বিদ্যুৎ সার্ভিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম এ,কে এম আজাদ জানান,“ কোম্পানীগঞ্জ ও কামাল্লা এই ২টি সাব-স্টেশনে দিনের বেলা বিদ্যুৎতের চাহিদা ১৪-১৫ মেগাওয়াট আর রাতে ২০ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা সর্বসাকুল্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৬-৭ মেগাওয়াট। আমরা শুধু বন্টনকারী যা পাই তাই সমানভাবে ১২টি ফিডারে ভাগ করে দেই। বিল বেশি আসার কথায় তিনি বলেন, গ্রাহক যেমন ব্যবহার করেন তেমনই বিল আসে”।