মুরাদনগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার উপর আ’লীগের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

গত ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারন সম্পাক হেদায়েত হোসেনকে (৫২) বেধরক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনায় মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনির বিরুদ্ধে একটি হত্যার চেষ্টার মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন ভুইয়া।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট এর ৮নং আমলী আদালতে ভুক্তভোগী হেদায়েত হোসেন হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করলে আদালতের বিচারক ওমর ফারুক অভিযোগটি আমলে নিয়ে মুরাদনগর থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার আদেশ প্রদান করেন।

মামলার আসামিরা হলো, শামিম (৪৫), বাদশা (৩০, আলী ইমাম (২৭), আরিফ (৩০), বাবু (২৫), রাব্বি (২৩), আবু কালাম (২৮), আরমান (২৫), সাইমন (২৫), নাহিদুল ইসলাম (৩০), তারেক ৩০) ও এরশাদ (২৮)।
এর আগে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় মুরাদনগর উপজেলা সদরের মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর রোডের জনতা বেকারির সামনে আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী শামিম ও বাদশা মেম্বারের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রধারী ক্যাডার আলী ইমাম, বাবু, রাব্বি, আবু কালাম, আরমান, সাইমন,নাহিদুল ইসলাম মিয়াসহ ১০-১২ জন মিলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হেদায়েত হোসেনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা রাম দা, গ্যাসের পাইপ, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক পিটিয়ে তার হাত পা ভেঙ্গে রাস্তয় ফেলে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান আহত হেদায়েত হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী হেদায়েত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির গত ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দেওয়ায় এই পর্যন্ত আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ৭ জন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছে। তাদের ভয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী বাড়ি ঘর ছাড়া। এদেও মধ্যে আমি একজন আওয়ামীলীগের ক্যাডার সন্ত্রাসীদের হামলায় শিকার। আমি আদালতের কাচ্ছে সঠিক বিচার কামনায় আদালতের আশ্রয় হয়েছি।