মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন , কেন্দ্র দুটি বেড়ে এখন ১০৫টি হলো

কুসিক নির্বাচন : চুড়ান্ত কেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

স্টাফ রিপোর্টার ।। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের চুড়ান্ত কেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেন কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।

মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুসিকের দ্বিতীয় নির্বাচনে মোট ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এবার দুইটি বেড়ে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৫টি। আগামী ১৫ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুইজন। সবচেয়ে বেশি ভোটার নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৭৪ জন। আর সবচেয়ে কম ভোটার নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৮৯৪ জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে বড় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) স্যার প্রতিনিয়ত মোবাইলফোনে কল করে আমাকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। আমি সততা ও নিরপেক্ষতা দিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই কুমিল্লা নগরবাসীকে। শতভাগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমার চেষ্টার কোন কমতি থাকবে না।

তিনি বলেন, কোথাও কোন অনিয়ম হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই মধ্যে ৫ জন প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে এবং তারা এর জবাবও দিয়েছেন। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৩৭টি মোটরসাইকেল আটক করেছে। মামলা দিয়ে ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ও করেছে। নির্বাচন সামনে রেখেই এই অভিযান চলছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তৎপর হতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। সকল প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনও তৎপর আছে। প্রচার-প্রচারণার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার, সভা ও সমাবেশ করবেন।