রং চায়ে জীবিকা জয়ধনের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ years ago

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : পঞ্চাশ বছর বয়সী জয়ধন বিশ্বাস। প্রতিদিন রং চা বিক্রি ১২০-১৫০ কাপ। তাও আবার পায়ে হেঁটে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় এক হাতে ফ্লাক্স ও আরেক হাতে ছোট একটা বালতি নিয়ে চা বিক্রি করেন। ওই বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে সংসার।

জয়ধন বিশ্বাসের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ভলাকুট ইউপির বাঘী গ্রামে।  স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। পরিবার নিয়ে জেলা শহরের পাইকপাড়াতে এক রুমের ভাড়া বাসাতে বসবাস করেন তিনি।

চা বিক্রেতা জয়ধন বিশ্বাস বলেন, প্রায় ছয়মাস ধরে জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করে আসছি। চা বিক্রি করে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৩৫০ টাকা আয় হয়। এই আয় দিয়েই কোনো রকমে চলছে সংসার। প্রতিদিন গড়ে ১২০ থেকে ১৫০ কাপ চা বিক্রি হয়। কোনো দিন আবার বেশিও বিক্রি হয়। প্রতি কাপ রং চা পাঁচ টাকা।

তিনি আরো বলেন, আমি আগে ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতাম। পরে কিছুদিন কৃষিকাজ করতাম। এখন বয়স হয়েছে তেমন পরিশ্রমের কাজ করতে পারি না। তাই গ্রাম থেকে শহরে চলে আসি পরিবার নিয়ে। চা বিক্রি করতে তেমন কোনো পুঁজি লাগে না। আর ভালো কোনো দোকান দিলে অনেক টাকার প্রয়োজন। বেশি পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করাও সম্ভব না। তাই ফ্লাক্সে করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে চা বিক্রি করি।

চা বিক্রেতা জয়ধন বিশ্বাস। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

চা বিক্রেতা জয়ধন বিশ্বাস। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

জেলা শহরের পাইকপাড়ায় এক রুমের একটি বাসা দুই হাজার টাকা ভাড়া দেই। প্রতিদিন তার স্ত্রী বাসা থেকে চা তৈরি করে দেন, পরে ওই চা জেলা শহরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। ছেলেকে একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ শিক্ষতে দিয়েছি। চা বিক্রি করে মাস শেষে বাসা ভাড়া দিয়ে ও সংসারের খরচ চালিয়ে সমান সমান হয়।

জয়ধন বিশ্বাস আরো বলেন, রং চায়ে লেবু, আদা ও কালিজিরা দিয়ে থাকি। আমার বানানো চা তৃপ্তি করে পান করে কেউ কেই বকশিশও দিয়ে থাকেন।