রামগঞ্জে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক হতে চান ৪৮ প্রার্থী!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১ বছর আগে

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর এবং সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৮ জন প্রার্থী হয়েছেন। তিনটি শাখার শীর্ষ ছয় পদে তারা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে পদপ্রত্যাশীরা দলবল নিয়ে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।

দলীয় সূত্র জানায়, উপজেলা শাখায় ২৫ জন, পৌরসভা শাখায় ১৩ জন ও সরকারি কলেজ শাখায় ১০ জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা।

এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে রামগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও সরকারি কলেজের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া এক চিঠিতে কমিটিগুলো বিলুপ্ত করেন।

অভিযোগ রয়েছে, বিলুপ্ত কমিটির উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত। তারা দুইজনই পৌরসভার কাউন্সিলর। পৌরসভার আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। কলেজের সভাপতি বাবা হয়ে সংসার সামলাচ্ছেন, সাধারণ সম্পাদক ঠিকাদারির পাশাপাশি সিএনজি মালিক সমিতিরও নেতা।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৯ মে কামরুল হাসান ফয়সাল মালকে সভাপতি ও মেহেদী হাসান শুভকে সাধারণ সম্পাদক করে রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়৷ দুই নেতাই বিবাহিত ও সন্তানের জনক। এর মধ্যে ফয়সাল মাল গত নির্বাচনে রামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড ও শুভ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এক বছরের জন্য ওই কমিটির অনুমোদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি ছয় বছর ছয় মাস অতিবাহিত করেছে।

২০১৮ সালের ৩১ জুলাই মিলন আটিয়াকে আহ্বায়ক ও রবিউল জামাল অপু মালকে প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের জন্য এ কমিটি গঠন করা হলেও তারা দায়িত্বে ছিলেন চার বছর চার মাস ২৬ দিন। এর মধ্যে মিলন আটিয়া বিবাহিত।

২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোরশেদুল আমিন বাবুকে সভাপতি ও রাকিবুল হাসান শান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ বছর ১০ মাস ২০ দিন এ কমিটি স্থায়ী ছিল। এরমধ্যে সভাপতি বাবু দল থেকে পদত্যাগ না করলেও কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। তিনি নিজ এলাকা লামচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদক রাকিবুলের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।

জেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, বিলুপ্ত কমিটিগুলোতে নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি জাহিদ আদনান, রিয়াজ হোসেন ও রাকিব হোসেনের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৪৮ জন প্রার্থী জীবনবৃন্তান্ত জমা দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া বলেন, রামগঞ্জের তিন শাখা কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। তাদের সম্মেলনের আয়োজন করতে বললেও ব্যর্থ হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল। এজন্য কমিটিগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন পদপ্রত্যাশীরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।