লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের ১৫১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
প্রকাশ: ১ বছর আগে

লক্ষ্মীপুর ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিসুজ্জামান মামলাটি করেন। এতে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

অন্যরা হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা জুয়েল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুর রহিম রাজন, আবদুল আজিজ মিশু, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আবুল বারাকাত সৌরভ, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক হাছিবুর রহমান অভি, যুগ্ম-আহবায়ক ইসমাইল হোসেন রনি, ছাত্রদল নেতা বায়েজীদ ভূঁইয়া, কাউছার আহমেদ ও রানা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তরা শহরের পুরাতন আদালত সড়কে জড়ো হয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি ও বাজারে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এসময় তাদের কোনো কর্মসূচি থাকলে সেখানে যাওয়ার জন্য বলে পুলিশ। বাজারে মানুষের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার জন্যও তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ছাত্রদলের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা তা মানতে নারাজ ছিল। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। এতে মামলার বাদি আনিসুজ্জামান, কনস্টেবল শফিক উল্যা ও জিসান আহমেদ আহত হয়। পরে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অন্যদিকে জেলা ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় চক বাজার এলাকা থেকে লক্ষ্মীপুর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। কিন্তু শুরু থেকেই পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে আসছিল। শহরের ব্রিজ পার হলেই পুলিশ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি নেতাকর্মীদেরকে লাথি-কিল-ঘুষি ও থাপ্পড় মারে। তাদের মারধরে নেতাকর্মীরা সড়কে পড়ে আহত হয়।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তাদের লাথি, কিল-ঘুষি-থাপ্পড়ে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়িনি। হয়রানি করার জন্য পুলিশ মামলা দিয়েছে। মামলা দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।