লঘুচাপ কাটলে বাড়তে পারে শীত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি কেটে গেলে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। লঘুচাপটি অনেক দূরে থাকায় আপাতত বাংলাদেশের ওপর এর প্রভাব পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

আবহাওয়াবিদ মো. লতিফুল নেওয়াজ কবির জাগো নিউজকে বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়েছে। এটি বর্তমানে শ্রীলঙ্কা উপকূলের অদূরে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এটি শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে কি না, এর গতিপথ কোন দিকে হবে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আরও শক্তিশালী হবে আপাতত এটা বলা যায়। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আর গতিপথও পরবর্তী সময়ে বলা যাবে। এ বিষয়ে বলার সময় এখনো হয়নি।

তিনি বলেন, আপাতত আমাদের এদিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মূলত আমাদের শীতকাল। নভেম্বরের ১৫ তারিখের পর দেখা যায় তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে থাকে। তবে সাগরে কোনো সিস্টেম থাকলে আমাদের এ অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে। এই সিস্টেমটি চলে গেলে হয়তো তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।