লালমাইয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানকে অনাস্থা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবুল বাসারকে অনাস্থা দিয়েছেন পরিষদের ১১জন মেম্বার। গত ৮ আগস্ট সকালে মেম্বাররা দুর্নীতির পৃথক অভিযোগসহ অনাস্থাপত্র স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কুমিল্লার উপ-পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশনের কুমিল্লার উপ-পরিচালক, লালমাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দেন। পরে ঐ দিন বিকালে তারা ইউপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যানকে অনাস্থা ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিলীপ চন্দ্র সিংহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লালমাই উপজেলাধীন ৫নং পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আবুল বাসার বিভিন্ন সময়ে সরকারি বরাদ্দের, পরিষদের আয় ব্যয় স্থানীয় সরকারের বাজেট, যেমন ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি-৩, পরিষদের আদায়কৃত (বাড়ির টেক্স, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আয়) নিজস্ব আয়, ১%, বাজার উন্নয়নের অর্থ পরিষদের কোন সদস্যকে অবহিত না করে এককভাবে ভুয়া ভাউচার দিয়ে নিজ ইচ্ছে মতো সিদ্ধান্ত নেন।
পরিষদের সদস্যদের না জানিয়ে প্রকল্পের সভাপতি করে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে এবং ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে নিজেই টাকা উত্তোলন করেন। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১% দ্বারা দুর্লভপুর ঈদগাহ এর পাশে পুকুরের ঘাটলা নির্মাণ বাবদ দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে কোন প্রকার কাজ না করে বরাদ্দের পুরো অর্থ আত্মসাৎ করেন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ১% দ্বারা উৎসবপদুয়া গ্রামের আনোয়ার মেম্বারের বাড়ির পাশের রাস্তা ব্রিকস সলিং বাবদ তিন লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া চেয়ারম্যান আবুল বাসার গত ৫ বছরে ১১জন ইউপি সদস্যের মাসিক ভাতা (পরিষদের অংশ) বাবদ ৩১ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ড থেকে সড়ক মেরামতের নামে পরিষদের পক্ষে বিপুল টাকা গ্রহন ও আত্মসাৎ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বার মোজাম্মেল হক, শহিদুর রহমান, মোকছদ আলী, তাজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুল আলম, এনায়েত উল্যাহ, বিউটি রানী সিংহ, মমতাজ বেগম ও জহুরা বেগম।