শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা শিক্ষিকার মোবাইলে !

নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুমিল্লা আর্দশ সদর উপজেলার হতদরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষিকা শামিমা আক্তারের বিরুদ্ধে আত্মাসৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহকারি শিক্ষিকা শামিমা আক্তার প্রকাশ ঝুমা ২০১৯ সালে নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে থাকাকালীন তৃতীয় ও শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা নিজের মোবাইল নাম্বারে ও সহকারি শিক্ষক শামিমার মা মিনু আক্তারের মোবাইল নাম্বারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীদের পরিবার।

তৎকালীন ২০১৯ সালে নগরীর নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শামিমা আক্তার সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বিদ্যালয়ে যোগদানের পর প্রধান শিক্ষক জোসনা বেগম তাহাকে ৩য় শ্রেণীর ক্লাশ টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন।

৩য় শ্রেণীর ক্লাশ শিক্ষক হিসেবে শামিমা আক্তার ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের তথ্য চান প্রধান শিক্ষক জোসনা বেগম। সে সুবাধে নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শামিমা আক্তার ৩য় ও শিশু শ্রেণীর হতদরিদ্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি প্রাপ্ত এমন শিক্ষার্থীর তথ্য মনগড়া হিসেবে তৈরি করে থাকে এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের বাবা-মার মোবাইল নাম্বার না দিয়ে দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যে সহকারি শিক্ষক শামিমা আক্তার তার নিজ মোবাইল নাম্বার ও মা মিনা আক্তারের মোবাইল নাম্বার দিয়ে রুপালী ব্যাংক কর্তৃক শিউর ক্যাশের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে জানা যায়, নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৎকালীন ২০১৯ সালে ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের নামের পাশে বাবা-মার মোবাইল নাম্বার না দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমা আক্তার এর মোবাইল নং- ০১৯..৪৪৫০ দিয়ে শিউর ক্যাশের দরিদ্র প্রাথমিক উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেন। শুধু একজন ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী নন, রয়েছে একাধিক ভোক্তভোগী দরিদ্র প্রাথমিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা মা ও নিজের মোবাইল নাম্বারে আসার অভিযোগ।

শিশু শ্রেণীর সাবিনা আক্তারের মায়ের নাম দিয়েছেন মিনু আক্তার যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা বরং উক্ত মিনু আক্তার হলো অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমা আক্তারের মা এবং শিশু শ্রেণীর তৎকালীন ছাত্রী সাবিনার প্রকৃত মায়ের মোবাইল নাম্বার না দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শামিমা আক্তারের মা মিনু আক্তারের ফোন নাম্বার উপবৃত্তির টাকা প্রাপ্তির স্থানে লিখে সকল উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি শিক্ষক শামিমা আক্তার বলেন, আমার স্বামীর সাথে আমার ঝামেলা। ব্যক্তিগতভাবে ঝামেলা থেকে কেউ আমার বিরুদ্ধে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র।

এ বিষয় কুমিল্লা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্ত প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক শামিমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।