শেখ হাসিনার আমলে কেউ না খেয়ে থাকবে না: এনামুল হক শামীম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাংলাদেশ যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে থাকবে ততদিন একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না। কেউ গৃহহীনও থাকবে না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাত্র দুই মাসের মাথায় জাতির পিতা গৃহহীন-ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় জননেত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীনদের পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে দেড় লক্ষাধিক পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া এখনো চলছে।

শুক্রবার শরীয়তপুরের সখিপুরে আওয়ামী লীগ ও উপমন্ত্রীর রত্নগর্ভা মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অসহায় ২৫টি পরিবারকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী শামীম এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, আর না থাকলে খাদ্যে সংকট পড়ে। আমাদের নেত্রী প্রায় সময়ই বলেন, বাড়ির আনাচে-কানাচে এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, প্রজ্ঞা মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ইস্পাত কঠিন হাতে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশ বিশ্ব মণ্ডলে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা রেকর্ডগড়া চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে দলকে এক হাতে সামলাচ্ছেন। যেন ক্লান্তি নেই। দীর্ঘযাত্রার ক্লান্তিহীন এ যোদ্ধার কাঁধে এখনো অনেক দায়িত্ব। দেশের প্রায় সব মানুষই স্বীকার করেন, হার না মানা যোদ্ধার নামই ‘শেখ হাসিনা’।

তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। জিয়াউর রহমান যেমন জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। বিএনপিও এখন ওইভাবে ক্ষমতায় যতে চায়। তারা গণতান্ত্রিক ধারা পছন্দ করে না। বিএনপি আবারও মানুষ হত্যা করে বিদেশি প্রভুদের সাহায্যে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু এদেশের মানুষ আর বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে না।

এ সময় ২৫ জনকে ২ বান্ডিল করে টিন ও নগদ ৬ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইউম প্রমুখ।