সকালে বেত্রাঘাত, দুপুরে বাথরুমে মিলল মাদরাসাছাত্রের লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকালে বেত্রাঘাতের শিকার এক মাদরাসাছাত্রের লাশ দুপুরে মাদরাসার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলী ইব্রাহীমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বালক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত মোহাম্মদ আলী জেলা শহরের কাউতলী এলাকার কাউসার মিয়ের ছেলে। সে কাউতলী ইব্রাহীমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বালক শাখার ছাত্র ছিল।

মৃত মোহাম্মদ আলীর পিতা কাউছার মিয়ার অভিযোগ, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দুপুরে খাবার দিতে এসে একটি বাথরুমে ছেলের লাশ দেখতে পান। তখন তার পা মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল।

ঐ মাদরাসার শিক্ষক মো. সানাউল্লাহ বলেন, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এর মধ্যে সামাইন নামে এক শিক্ষার্থী এসে আমাকে জানায় বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় মোহাম্মদ আলীকে দেখেছে। পরে অন্যরাও একই অবস্থা দেখতে পেলে দায়িত্বরত হুজুরকে জানানো হয়।

অভিযোগ ওঠা শিক্ষক হুসাইন আহমেদ বলেন, পড়তে না পারায় সকালে মোহাম্মদ আলীকে বেত্রাঘাত করি। পরে বিষয়টি তাকে বুঝিয়েও বলি। পড়া না পারার বিষয়টি তার বাবাকেও জানাই। দুপুরে বাথরুমে তার লাশ দেখতে পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যদি হত্যা করে থাকি তাহলে সিসি ক্যামেরাতেই সেটা ধরা পড়বে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা শিক্ষক হুসাইন আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া মাদরাসার সিসি ক্যামেরাসহ সংশ্লিষ্ট যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।