সদর দক্ষিণে ২৫ বছরের সংসার আর ৪ সন্তান ফেলে প্রেমিক নিয়ে লাপাত্তা স্ত্রী

# স্ত্রীকে খুঁজে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে স্বামী
মোস্তাফিজুর রহমান ।।
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনমূড়া এলাকায় ৪ সন্তানের জননী মোসা. হেলেনা বেগম পরকিয়া প্রেমিক নিয়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে রেখে দীর্ঘদিন স্বামীর বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। পাঁচ বছরের ছেলেকে নিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে স্বামী আবুল কাশেম।
গতকাল মঙ্গলবার আবুল কাশেমের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনমূড়া এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী হেলেনা বেগম গত বছর ১৫ জুলাই ২৫ বছরের সংসার জীবন এবং চার সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে চলে যায়। সন্তানদের মধ্যে তিন মেয়ে সংসার করছে স্বামীর বাড়িতে। ৫ বছরের ছেলেকে রেখে যায় স্বামী আবুল কাশেমের কাছে। চলে যাওয়ার পরে স্বামী আবুল কাশেম সমাজিক ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করে। সমাধান না হওয়ায় পরে মামলা করে।
জানা যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই স্বামী আবুল কাশেমের মামা ও খালাতো ভাইয়েরা সম্পদের লোভে একাজ গুলো করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আবুল কাসেম বলেন, আমার ২৫ বছরের সংসার। এর মধ্যে কথা কাটাকাটি, ঝামেলা সব কিছুই হইছে আবার সমাধানও হইছে। কিন্তু আমার খালাতো ভাইয়ের কারণে আজকে এ সমস্যা। আমার স্ত্রী পর পুরুষের সাথে সম্পর্ক ছিলো তারপর একটি সমস্যা হইছে গত বছর। সমাধানের পরে আমার খালাতো ভাইসহ আরো কয়েকজন মিলে খারাপ কাজের জন্য আমার স্ত্রীকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ এনে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারও করায়। স্ত্রী যাওয়ার পরে তিন জনকে আসামী করে আমিও একটি মামলা করি। সেখানে একজন আসামী রেখে বাকি দু’জনের নাম কেটে দেয় পুলিশ। রাসেলের বিরুদ্ধে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট হওয়ার পরেও তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর থেকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমার বাড়িতে আমাকে মারতে কয়েকবার করে লোক পাঠিয়েছে। তারা আমার স্ত্রীকে দিয়ে খারাপ কাজ করাচ্ছে এবং আমার মেয়েগুলোকে স্বামীর বাড়ি থেকে এনে অনেক অনৈতিক কাজ করাচ্ছে বলে আমার কাছে খবর এসেছে। আমি সামাজিক ভাবে এ সমস্যাটা শেষ করতে চেয়েছি। কিন্তু আমার স্ত্রী তাদের কথা শুনে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমি থানায় মামলা করেছি পরে আদালতেও মামলা করেছি। সেবা উন্নয়ন সংস্থায় ৩হাজার ৫ শ টাকা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেও কোন ফল পাইনি। এখন বাধ্য হয়ে মিডিয়াতে আসছি। আমি চাই আমার স্ত্রী আমার মাসুম ছেলেটার কাছে ফিরে আসুক।

এ বিষয়ে জানতে স্ত্রী মোসা. হেলেনা বেগমকে একাধিক বার মুঠো ফোনে ফোন করেও পাওয়া যায় নি।
প্রতিবেশী সুমন মিয়া বলেন, স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া হয় আবার সমাধানও হয়। কিন্তু তাদের এ সমস্যাটার মধ্যে তৃতীয় একটা পক্ষ এসে ঝামেলাটা আরো কঠিন করে ফেলছে। তারা তার স্ত্রীকে এখান থেকে নিয়ে গেছে। এখন নাকি বাসায় থাকে। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সে লিপ্ত। এতো কিছুর পরেও সে তার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চায় কিন্তু একটা কুচক্রী মহল তার স্ত্রীকে অসৎ কাজে ব্যবহার করতে চায় তাই তার কাছে আসতে দিচ্ছে না। সে বিচারের জন্য সব জায়গায় ঘুরাঘুরি করছে কোন লাভ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ বলেন, এটা অনেক আগের ঘটনা। মহিলাটা আসলে খারাপ। সে পরকীয়া করে ধরা খেয়েছে। পরে সে ৫ বছরের একটা ছেলে রেখে সে চলে যায়। তার স্বামী বাচ্চা গুলার মায়ায় এ স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করতে চাচ্ছে কিন্তু মহিলাটা আসতেছে না। আমি শালিস করে স্থানীয় মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়ে আসছিলাম। বর্তমানে কি খবর সেটা আমি বলতে পারবো না ।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। যেহেতু আসামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে অবশ্যই মামলা হইছে। আমি বিষয়টা যেনে ব্যবস্থা নেবো।