সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে আজ থেকে অফিস শুরু হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা নতুন সূচিতে অফিস করছেন।

নতুন নিয়মানুযায়ী, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে। এর মধ্যে দেশের ব্যাংকখাত সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চললেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বুধবার  সকাল ৮টায় নতুন সময়সূচি মেনে অফিসে উপস্থিত হয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সরকারি অফিস সচিবালয় বুধবার সকালে সরজমিন এসে দেখা যায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিয়ম মেনে অফিস শুরু করেছেন। পূর্বনির্ধারিত সময় মেনেই সরকারি কর্মকর্তাদের বহন করা গাড়ি সচিবালায় এসে পৌঁছায়।

এদিকে নতুন সূচির ফলে সকাল ৭টা থেকেই সড়কে যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। সচিবালয়ে সকাল ৮টায় অফিসে এসেছেন অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী। মন্ত্রণালয়গুলোতে উপস্থিতিও ছিল ভালো।

এর আগে, সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এছাড়া জরুরি পরিষেবাগুলো নতুন অফিস সময়সূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ নির্ধারণ করবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সোম ও মঙ্গলবার নির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে, সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

আগে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম  ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত হতো।

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। সংকট মোকাবিলায় সূচি করে লোডশেডিং দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।