হঠাৎ ফাঁকা আরাভ জুয়েলার্স, পড়ে আছে ৬০ কেজি সোনার সেই বাজপাখি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

বর্তমানে টক অব দ্য কান্ট্রি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। সম্প্রতি দুবাইয়ে তারকাদের দিয়ে ‘আরাভ জুয়েলারি’ উদ্বোধন করতে গিয়ে আলোচনা আসেন তিনি। চার বছর আগে ঢাকার গুলশানে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি এই আরাভ খান।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রেড নোটিশ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল। এরইমধ্যে দুবাই পুলিশও তাকে খুঁজছে।

এদিকে, হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান চাপের মুখে হঠাৎ তার সোনার দোকান ‘আরাভ জুয়েলার্স’ ফাঁকা করে ফেলেছেন। সেখানে নেই কোনো স্বর্ণালংকার। দুবাই থেকে আরাভ জুয়েলারি শপের কিছু ছবি গণমাধ্যমে এসেছে।

ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, তার সেই সোনার দোকানটি পুরোপুরি ফাঁকা। সেখানে নেই কোনো স্বর্ণালংকার। দোকানের সামনে পড়ে আছে কথিত ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো বাজপাখি ও বাঘের লোগো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দফতর আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারির আবেদন করে। রেড এলার্ট জারির পর নড়েচড়ে বসেছে দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও।

সূত্র জানায়, রেড এলার্ট জারির পর থেকে দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা আরাভ খানের মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, আদালতে জমা দেওয়া আসামিদের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, আদালত থেকে জারি করা বিভিন্ন মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন।

আরাভ যে বাংলাদেশের নাগরিক, তা নিশ্চিত করতে তার বাবা ও মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব কিছু বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিতে রূপান্তর করে পাঠানো হয়েছে। এসব নথিপত্র পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কাজ শুরু করেছে দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।