বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান রিমান্ড আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি (এপিপি) নুরুল ইসলাম চৌধুরী।
আদালতে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন চৌধুরী।
গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সুমন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির তারিখ ঠিক হওয়ায় বুধবার তাকে হবিগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে ব্যারিস্টার সুমনকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসার সময় আদালত প্রাঙ্গনে ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা সুমনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়েও মারেন।
এ ছাড়াও আদালত চলাকালীন সময়ে ব্যরিস্টার সুমনের এক সমর্থক আদালতের ভেতরের ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করলে আইনজীবিরা তাকে ধাওয়া করে। এ সময় ওই সমর্থক পালিয়ে যায়।
এপিপি নুরুল ইসলাম চৌধুরী জানান- গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
তবে ব্যরিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় সুমনকে জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন- “আমরা আদালতকে বলেছি এই মামলায় ব্যরিস্টার সুমনের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
“এছাড়া মামলায় বলা হয়েছে তিনি পরোক্ষাবে হুকুম দিয়েছেন। কিন্ত তিনি কার কাছে হুকুম দিয়েছে, কিভাবে দিয়েছেন তার কোনো সত্যতা নেই।”
“মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার উদ্দেশ্যে তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে”, যোগ করেন ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী।