হার না মানা একজন অপরাজিত সৈনিক জমির উদ্দিন খান জম্পী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ years ago

পর পর সাত বার নির্বাচন করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাসে আর একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই বিরল সম্মানটি যিনি অর্জন করেছেন তিনি হলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খান (জম্পী)। গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বি চার প্রার্থীকে পরাজিত করে সপ্তম বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন। এবার তার প্রতীক ছিল মিষ্টি কুমড়া।

জমির উদ্দিন খান কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহা উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে জমির উদ্দিন খানের চাচা কুমিল্লা পৌরসভার কমিশনার আবদুর রশিদ মারা যান। এরপর তিনি ওই ওয়ার্ডের কমিশনার পদে উপ-নির্বাচনে করে জয়ী হন। এরপর ১৯৮৫, ১৯৮৯, ১৯৯৩, ২০০০, ২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন। ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন। এবারের নির্বাচনে জমিরসহ ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন ঘুড়ি প্রতীকের কামাল হোসেন, কাঁটাচামচ প্রতীকের মিজানুর রহমান মিলন, ট্রাক্টর প্রতীকের মো. কাউসার ও লাটিম প্রতীকের আশিকুর রহমান। এর মধ্যে কামাল ও মিজানুর আগেও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছিলেন। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৭। এবারের নির্বাচনে ভোট কাষ্টিং হয় ২ হাজার ৪৪৩ ভোট। আর জমির উদ্দিন খান জম্পি পান ১ হাজার ৯৮ ভোট।

সপ্তম বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জমির উদ্দিন খান জম্পি বলেন, ‘আমার চাচা এ ওয়ার্ডে ৩৩ বছর কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর অনুসারী হিসেবে আমিও ৩৭ বছর পার করছি। এবার কাউন্সিলর হিসেবে ৩৮ বছরের যাত্রা শুরু করলাম। এবার এলাকাবাসীর অনুরোধে প্রার্থী হয়েছিলাম। এলাকাবাসী আমার জন্য নির্বাচনে কাজ কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। এবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রত্যাশা রাখছি। ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা, নালা ও সড়কে টুকটাক কিছু সমস্যা আছে। এই সমস্যা গুলো সমাধান করব ইনশাআল্লাহ।